প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বে গোটা জাতি করোনার বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব লড়াই করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা তার সাহস নেতৃত্ব দক্ষতায় রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রকেই নয় জনগণকেই করোনার মোকাবেলায় স্বতস্ফূর্ত ঐক্যের মোহনায় মিলিত করেছেন।
নরমে গরমে দরদে প্রেমে কঠোরতায় শৃঙ্খলায় এক অনবদ্য লড়াই দেশজুড়ে তৈরি করেছেন। প্রমাণ করেছেন আরেক মহাদুর্যোগে তিনি মুজিবকন্যা পারেন। গভীর দেশ প্রেমে মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসায় দায়িত্ব পালনের জায়গাটিতে ইবাদতে সততার সাথে হাঁটছেন। ভয়ঙ্কর করোনার ভয়াবহতা রুখতে প্রতিরোধের প্রথম দূর্গটি সুনিপুণভাবে মমতার সাথে শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি যে নির্দেশনা দেন ও করোনা থেকে বাঁচার সচেতনতা তৈরির অনুরোধ করেন সেটি অনেক সফল হয়েছে। তার আগেই তিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সফল হন। কার্যত অঘোষিত লকডাউনে দেশ কিন্তু একবারও শব্দটি উচ্চারণ করেননি।
মানুষকে ছুটির ফাঁদে ফেলে যে যেখানে যাবার দ্রুত তার সুযোগ করে দেন এবং সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সেনাবাহিনী মাঠ প্রশাসনের সাথে কাজে অসাধারণ সমন্বয় গড়ে তুলে। পুলিশসহ সবাই এতো দক্ষতার সাথে কাজ করে যে জনগণও সাহস পায়, সাড়া দেয়। সবাই বলছেন, কম সময়ে দেশজুড়ে শেখ হাসিনা মানুষকে সামাজিক দূরত্ব, সঙ্গরোধ আইসোলেশনে দক্ষ করে ফলাফল অর্জন করেন।
এমনকি আমেরিকা, বৃটেন, ইউরোপের মতোন চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নত মহা শক্তিধর দেশগুলো যেখানে ভয়ঙ্কর মৃত্যুকূপের অসহায় পরিস্থিতির মুখে সেখানে আমাদের এতো মানুষ ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি দ্রুত সংগঠিত পরিকল্পিত উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারের পাশে দেশের বড় শিল্পপতিরাও এগিয়ে আসছেন। সেনাবাহিনীসহ সকল শ্রেণিপেশার পক্ষে অর্থসাহায্য ও দেয়া হয়। মাঠের লড়াইয়েও নেমেছেন।
মহাদুঃসময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কঠিন দৃঢ়তার সাথে পৃথিবীর বুকে অভিশাপের মতোন নেমে আসা করোনাভাইরাস থেকে দেশের জনগণকে রুখে দাঁড়াতে অদম্য সাহসই যোগাননি নিজেই আগুনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতোন জ্বলে উঠেছেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন ঐক্যের প্রতীক ও সংগ্রাম যুদ্ধের প্রেরণার উৎস, তেমনি আজ শেখ হাসিনা।
দরিদ্রদের জন্য ভাসানচর থেকে ঘরে ফেরা কর্মসূচি খুলে দিয়েছেন। সুশৃংখলভাবে ঘরে ঘরে খাবার যাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মী বিত্তবানরাও সহায়তা করছেন। মানুষের পাশে নির্ঘুম শেখ হাসিনা চোখ কান খোলা রেখেছেন।
দেশজুড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পশ্চিমা নেতৃত্ব যেখানে মুষড়ে পড়েছেন, শেখ হাসিনা সেখানে বিশাল জনগোষ্ঠী ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও অপ্রতিরোধ্য লড়াই করছেন। মানুষের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মহাবিপর্যয়ের মুখে যেমন জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত করেন, স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি বাতিল করেন, তেমনি মঙ্গলবার প্রশাসনের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছেন। প্রশাসনসহ সবাইকে অনিয়ম হলে সহ্য করবেন না বলে যেমন সতর্ক করেছেন তেমনি ছুটিও বাড়িয়ে কৌশলী পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন। অনেকে পিপিই পরিধান করে অফিস করছিলেন তাতে বিরক্ত হয়ে বলেছেন, চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া কেউ ব্যবহার করলে রোগীর পাশে সেবা করতে পাঠিয়ে দেবেন।
বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ করোনাভাইরাসে যখন গোটা পৃথিবী অচল ও বিমর্ষ এবং লাশের মিছিলের মুখে তখন আমরা জানি না সামনে কি আছে? কি ঘটতে যাচ্ছে। তবে আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দ্রুত গণজাগরণ ঘটিয়ে জাতির ঐক্যের প্রতীক হিসেবে লড়াই করার শক্তি যুগিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন জনগণের পাশে থাকবেন। আছেন এবং মনিটর করছেন।
দেশের অর্থনীতি যে মন্দার মুখে পড়বে সেটিও মাথায় রাখছেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার সমস্যা নির্দিষ্ট করে সমাধান এনে সংগঠিত করছেন। সরঞ্জামাদি ও চীন থেকে এসেছে আরও আসবে। চিকিৎসক দলকেও মানুষের সেবায় সাহস দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই মাঠে সবাই কাজ করছে। করোনা চিকিৎসা ও পরীক্ষার জায়গাটিও বিস্তৃত করেছেন। আজ পৃথিবীর সামনে যেখানে করোনার কোনো ওষুধ নেই, ভ্যাকসিন নেই আক্রান্ত আর মৃত্যুর খবর সেখানে আমাদের সচেতনতা আর সবার মানবিক মনোভাব নিয়ে সরকারি বেসরকারি সকল শক্তির সমন্বিত উদ্যোগেই মানবতার লড়াই চলছে। মানুষের জীবন রক্ষার যুদ্ধে বিজয়ের বিকল্প আমাদের নেই
Discussion about this post