পাবনার বেড়া উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে আশরাফুল আলম নামে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার (২২ মার্চ) সকালে বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানায় ওই স্কুলছাত্রী (১৬) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
অভিযুক্ত আশরাফুল আলম একই থানার রুপপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আবুল চৌধুরীর ছেলে। ভুক্তভোগী মেয়েটি বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার ধোবাখোলা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।এলাকাবাসী ও মেয়েটির পরিবার জানায়, প্যারামেডিকেল চিকিৎসক ও স্থানীয় বাঁধেরহাট বাজারের মা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলমের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত দুই বছর ধরে আশরাফুল আলম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্ত বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ অবস্থায় শনিবার (২১ মার্চ) দুপুর থেকে মেয়েটি আশরাফুল আলমের বাড়িতে অনশন শুরু করে। তার অনশনের খবর পেয়ে আশরাফুল আলম দোকান থেকেই পালিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে আমিনপুর থানার পুলিশ রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়েটিকে নিয়ে বাড়িতে তার বাবা-মায়ের কাছে দিতে গেলে সে বাড়িতে থাকবে না বলে জানায়। শুধু তাই নয়, প্রেমিক আলম তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার ঘোষণা দেয় সে। উপায়ন্তর না পেয়ে পুলিশ রাতেই মেয়েটিকে আমিনপুর থানার নিয়ে যায়। এ অবস্থায় মেয়েটি রাতভর থানা হেফাজতেই ছিল এবং রোববার সকালে সে বাদী হয়ে আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করে।
আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটির সঙ্গে আশরাফুল আলমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছেন-এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার পর মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশরাফুল আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post