আগে রীতি ছিল বিজয়ী দল পরাজিত দলের ড্রেসিং রুমে গিয়ে ‘হার্ড লাক, ব্যাড লাক, নেক্সটাইম’- এসব সৌজন্যতাবোধ সম্পন্ন কথা-বার্তা বলে আসতো।বেশ কিছুদিন ধরে তা উঠে গেছে। এখন কি ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক আসর- সর্বত্রই ম্যাচ শেষে একটি দৃশ্য চোখে পড়ে। তাহলো দু’দল সারিবদ্ধভাবে মাঠের এক কোনে ড্রেসিং রুমের কাছাকাছি অপর দলের ক্রিকেটার, কোচ ও কর্মকর্তাদের সাথে করমর্দনের মাধ্যমে সৌজন্য বিনিময় করে।
দেখার বিষয় ছিল আজ আবাহনী আর পারটেক্সের ম্যাচ শেষে কি করেন দু’দলের ক্রিকেটাররা? কিন্তু চরম সত্য হলো আজ রোববার বিকেলে শেরে বাংলায় আবাহনী আর পারটেক্সের ম্যাচ শেষে দেখা গেল অনেক ক্রিকেটারই হাত মিলিয়েছেন।
সেটা কেন? তবে কি ক্রিকেটাররা বিসিবির সতর্ক ও সাবধানি পরামর্শ বা নির্দেশিকা মানতে নারাজ? খেলা শেষে এ প্রশ্ন করা হলে আবাহনীর এবারের অধিনায়ক ও দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম অকপটে স্বীকার করেন।
আসলে খেলা শেষে হ্যান্ডশেক করা একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এটা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে সবার। তাই আসলে খেলা শেষে অনেকেরই মনে ছিল না, হ্যান্ডশেক না করার কথা বলা হয়েছে।
এ সম্পর্কে মুশফিক বলেন, ‘আসলে সত্যি কথা বলতে কি ভুলে যাই, এটা আসলে এখনো অভ্যাসে পরিণত হয়নি। তবে এটা নিয়ে সবাই আসলে শঙ্কিত এবং ভয়ে আছে। সবমিলিয়ে আমরা যতটা সতর্ক এবং সচেতন থাকতে পারি সে চেষ্টা থাকবে।’
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দুরে থাকতে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোনো-বার্তা দেয়া হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক জানালেন, ‘হ্যাঁ। তাতো অবশ্যই। আমরা যতদূর জানি যে বলে থুতু লাগানো যাবে না। এরপর আমাদের করমর্দন করার ব্যাপারেও নিষেধ করা হয়েছে। আমরা যখন একসঙ্গে থাকবো তখন যেন দূরে থাকি। পানি পানের বিরতিতে বিশেষ করে হেক্সাসল এবং স্যানিটাইজার সবই ছিল। সবাই চেষ্টা করছে সতর্ক থাকার। পানির বোতলও ছিল। যার যারটা সে নিজে খাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি যে যতটা নিরাপদ থেকে এবং সচেতন থেকে খেলা যায় আরকি।’
তবে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি ধার্মিক মুশফিক সৃষ্টিকর্তারও আনুকুল্য প্রার্থী। তাইতো মুখে এমন কথা, চেষ্টা থাকবে নামাজ-কালাম পড়ে দোয়া করা। এছাড়া তো উপায় নেই। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে ঠিক হয়ে যাবে। আরো কয়েকটা দিন সময় লাগবে হয়তো এটা ঠিক হতে।’
Discussion about this post