রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার পর পাশ্ববর্তী জেলা বান্দরবানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বান্দরবানের অন্তত চারটি জায়গায় অস্থায়ী নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
এছাড়া বেশ কয়েকটি টহল দল সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে বান্দরবানে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি দল।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হোসেন মজুমদার জানান, বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের পার্শ^বর্তী রাঙ্গামাটির রাজস্থলী এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের উপর সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় হতাহত হওয়ার পর সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী ধারণা করছে সন্ত্রাসীরা হামলার পর বান্দরবান সীমান্তে বনাঞ্চলে তারা আশ্রয় নিতে পারে। এ ধারণা থেকে রাজবিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, রাজস্থলী পার্শ^বর্তী বান্দরবানের রাজবিলা কুহালং, বাগমারা, আন্তাহা পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার গাইন্দা ইউনিয়নের পাইদু পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে এ ধরনের খবর পেয়ে সেখানে একটি সেনাবাহিনীর টহল দল গেলে তাদের উপর আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা গুলি করে।
এতে মো. নাসিম মিয়া নামের সেনাবাহিনীর এক সৈনিক নিহত ও দু’জন আহত হয়। হামলার পর গুলিবিদ্ধ সৈনিকদের হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মূলত এরপর থেকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলী ও বান্দরবানের রাজবিলা এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারা হামলা করেছে এখনো নিশ্চিত করে জানা না গেলেও হামলাকারীরা জনসংহতি সমিতির সদস্য বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা
Discussion about this post