কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানার উদ্যোগে এতিমখানা প্রাঙ্গণে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রপথিক, উপমহাদেশে মুসলিম সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, সাহিত্যিক মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৭৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতিমখানা পরিচালনা পরিষদের সহ সভাপতি লায়ন সৈয়দ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। সদ্যপ্রয়াত ভাষাবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানকে উৎসর্গ করে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিক্ষা প্রসার ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য পূর্ব বাংলার প্রথম মুসলিম চিকিৎসক ডা. এম.এ. হাসেমকে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
কদম মোবারক প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের মঈনুল ইসলাম ও মো. কায়ছার হামিদের সঞ্চালনায় সভায় অতিথি আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. শামসুদ্দিন শিশির, ইসলামাবাদীর দৌহিত্র এএমএস ইসলামাবাদী গাজী, প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, অধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম রিজভী, আলাউদ্দিন
আলী নূর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি খান, সোহেল মো. ফখরুদ্দীন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, আজাদ উল্লাহ খান, আবু জহুর, মো. ইলিয়াছ হোসেন, মো. ইলিয়াছ, আবদুল আলিম, মো. নবাব মিয়া, মো. আরিফ, হাফেজ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সিকান্দার খান বলেন, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর জীবনাদর্শ ও বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞ অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী আজীবন জনহিতকর, জাতীয় উন্নতিমূলক বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞে নিবেদিত ছিলেন। বিপ্লবী এই কীর্তিমান বাংলার মুসলিম সমাজের জাগরণে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী মানুষের আত্মমুক্তির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন। তাঁর ভাবনা চিন্তায় ছিলো মানুষের জাগতিক পরিবর্তন ও আত্মিক উন্নয়ন। তাঁর ইচ্ছে ছিলো আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
বাদে ফজর খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, মুনাজাত, কবর জিয?ারত ও বিভিন্ন সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, হিফজ সমাপ্তকারীদের পাগড?ি প্রদান, আলোচনা সভা ও তাবারুক বিতরণের মধ্য দিয?ে বিনম্র শ্রদ্ধায? দিনব্যাপী কর্মসূচি সমাপ্ত হয?।
Discussion about this post