রাকিব হোসেনঃ কুষ্টিয়া কুমারখালী কয়া ইউনিয়নের সুলতানাপুর গ্ৰামে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের মহিলা সহ ৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবং ৩ জন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২১শে এপ্রিল) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় এই ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, কয়া সুলতানপুর গ্ৰামের মোঃ সুজন শাহ্ (৩৭) মোঃ হেলাল শাহ্ (৫৫), উজ্জল শাহ্ (৩৮) মোঃ আদালত শাহ্ (৪৫) মোঃ আজম শাহ্ (৪২) সর্ব পিতা – মৃত শুটকা শাহ্, মোঃ আরিফুল ইসলাম ( ২২) সহ আরো অজ্ঞাত নামা অনেকেই।
পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে সুলতানপুর গ্ৰামের আকছেদ শাহ্ ছেলে আশরাফুল ইসলাম সহ একই পরিবারের ৫ জন কে রক্তাক্ত জখম করবার অভিযোগ উঠেছে।
মোঃ মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার চাচাতো মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩০) কে বাড়ির মধ্যে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে হেলাল সহ তার লোকজন। আমার চাচাতো ভাই গালিগালাজ করতে নিষেধ করা মাত্র । হেলাল শাহ্ এর হুকুমে তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যরা দেশীয় অস্ত্র ও বাটাম দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাম পাশে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
এই সময় আমার আর- এক চাচাতো ভাই মোঃ আনারুল ইসলাম ( ৪২) ও মোঃ জসিম সহ আরো তিন চার জন ঠেকাতে গেলে। তাদেরকেও হেলাল শাহ্ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত জখম হয়। এই সময় ঘর বাড়ি ভাংচুর সহ ঘরের মধ্যে ডুকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে গেছে তারা।
আমার ভাইয়েদের ডাকচিৎকারে আমি সহ আরো এলাকার অনেকর সহযোগীতায় ভাইদের কে গুরুতর আহত অবস্থায় ভ্যান যোগে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আমাদের বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এই বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোহসীন হোসাইন বলেন, এই ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post