প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া সাইফুল, আরাফাত, জাকারিয়া, হাসান, রুমন মন্ডল, জীবন, রনিসহ একদল লোক আলামিনের মুদি দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। আলামিনকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে ও মাজেদা খাতুনের নির্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দোকানের বিভিন্ন গ্লাস সোকেজ ও অনান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
দোকান মালিক আলামিন জানান, আমার বড় ছেলে আমির হামজাকে দোকানে রেখে বাসায় খেতে যায়, বাসা থেকে এসে দেখি আমার দোকানে হামলা হয়েছে এবং আমার দোকানের ড্রয়ারে থাকা ৯০,০০০ টাকা লুট হয়েছে ও আমার দোকানের আনুমানিক ২৫,০০০ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
আমির হামজা জানায়, আমি দোকানে থাকা অবস্থায় একদল লোক দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। আমি বাঁধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দোকানের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে।
আব্দুস সামাদ জানান, আমি আলামিনের পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম এমন সময় ৩০ থেকে ৫০ মত লোক হাতে হাসুয়া, ছোরা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে দোকানে হামলা করে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে।
শাহাবুবুর রহমান জানায়, আমি বাসা থেকে রের হতেই দেখি একদল লোক সহ মোছাঃ মাজেদা খাতুন বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছে। আলামিনের দোকানে হামলা হয়েছে দেখে কুমারখালী থানা অফিসারকে মুঠোফোনে কল করি। স্যার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান।
কুমারখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একটি লিখিত অভিযোগ পয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post