কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছেন জনতা ব্যাংকের আব্দুল মালেক নামে এক গ্রাহক।
রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে ভূঞাপুর জনতা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে সিঁড়ি দিয়ে নিচ তলায় নামার সময় ১০ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ দেয় ঘাটাইল উপজেলার মনোহারা গ্রামের মৃত ইনছান আলীর ছেলে আবদুল মালেক।
পরে অভিযোগের পর টাকা উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। টাকার মালিক আবদুল মালেকের কথাবার্তায় অসঙ্গতি এবং ছিনতাইস্থল ভূঞাপুর মৌরিন সুপার মার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি।
এরপর পুলিশ অভিযোগকারী মালেককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনাটি সাজানো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করলে পুলিশ মালেকের দেয়া তথ্য মতে ওইদিন রাতে ভূঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দির গনেশ মোড় এলাকার তারই মেয়ে রানীর ভাড়া বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করে। পরে সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে উদ্ধার হওয়া ১০ লাখ টাকা গ্রাহক আব্দুল মালেকের হিসাব নম্বরে জমা করা হয়।
জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার লুৎফর রহমান জানান, ব্যাংকের সিঁড়ির নিচ থেকে টাকা ছিনতাই ছিল সাজানো নাটক। ওই গ্রাহক তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। এতে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন তিনি।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঘাটাইল উপজেলার আথাইল শিমুল এলাকার শাহ আলম নামে একজনকে ফাঁসাতে জনতা ব্যাংকের গ্রাহক আব্দুল মালেক ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক করেছিলেন। তবে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত না হওয়ায় টাকার মালিক আব্দুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে মালেক ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে স্বীকার করে। পরে মালেকের দেয়া তথ্য মতে তারই মেয়ে রানীর ভাড়া বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করে জনতা ব্যাংক ভূঞাপুর শাখায় জমা করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টির করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post