প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দেশকে সারাবিশ্বের কাছে মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশকে আর কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে, বিশ্বে যেন বাংলাদেশ একটা মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেলক্ষ্য নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করছি। মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যে তারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন, বিশ্বাস রেখেছেন। তারা ভোট দিয়েছেন বলেই আজ সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের শুরুতে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সকালে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন ফিরে গিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে। নিজের পরিবারে স্মৃতিচারণ আর ১৫ আগস্টের ভয়াবহতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনেও বঙ্গবন্ধু জীবিত ছিলেন। আমরা দু‘বোন সেসময় বিদেশে ছিলাম। তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল ১৩ আগস্ট। এরপর আর কথা হয়নি। এরপরই নিঃস্ব হই আমি আর আমার ছোট বোন।’
বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ১৫ আগস্টের শহীর, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লাখ মানুষ, সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নিহত জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় ১৫ আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া চান তিনি।
বাংলাদেশের সব মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের দারিদ্রতার হার কমেছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, ‘যারা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে আছেন তারাই বুঝবেন আমার কষ্ট। আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি বাংলার মানুষর ভাগ্য গড়ে দেওয়ার জন্য। সবসময় মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকলে আমার বাবা-মার আত্মা খুশি হবে।’
যত কষ্টই থাকুক সবাইকে ত্যাগের মহিমা নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে আহ্বান জানান তিনি। শুধু দেশের মানষ না মুসলিম উম্মার প্রতিও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনরা দোয়া করবেন। যে পবিত্র দায়িত্ব জনগণ আমার হাতে তুলে দিয়েছে আমি যেন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারি।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে গণভবনে সমবেত দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের সামনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ পরিবারের সদস্যরাও তার সঙ্গে ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ প্রমুখ।
Discussion about this post