মোঃ রাকিব হোসেন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া): বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী কথাসাহিত্যিক ও বিষাদ সিন্ধু’রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন এর বাস্তভিটায় দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ রবিবার বিকেল ৪ টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম,কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি) এর সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক ডঃ আমানুর আমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক মঞ্জু।
মীর মশাররফ হোসেনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার বাস্তভিটায় গ্রামীণ মেলাও বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।
সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন কুমারখালীর লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকার সমভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার মায়ের নাম দৌলতুন্নেসা। মীর মশাররফ জগনমোহন নন্দীর পাঠশালায় পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি কুমারখালীর এমএন হাই স্কুল, কুষ্টিয়া হাই স্কুল ও রাজবাড়ী জেলার পদমদী হাই স্কুলে কিছুদিন পড়াশুনা করেন।
সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তিনি উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক প্রায় ৩৫টি বই রচনা করে গেছেন। এরমধ্যে রত্নাবতী, গৌরী সেতু, বসন্তকুমারী, নাটক জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদীনার গৌরব, বিষাদসিন্ধু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
নীল বিদ্রোহের উপরে ‘জমিদার দর্পণ’ সহ প্রায় ২৫টি গদ্য গ্রন্থ রচনা করে মীর মশাররফ হোসেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম আধুনিক মুসলিম গদ্য শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। তার সম্পাদিত ‘হিতকরী’ (১৮৯০) পত্রিকায় বাউল শিরোমনি লালন ফকিরের উপরে প্রথম লালন জীবন দর্শন মহাত্মা লালন ফকির প্রকাশিত হয়।
Discussion about this post