আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় সিলেট বিভাগে জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রতি উপজেলার নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। সিলেট জেলায় ১৩ টি কেন্দ্রে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলে ভোটগ্রহণ। এবার ইভিএম তথা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ছিলো সিসি ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিলেট জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভােকেট নাসির উদ্দিন খান ও মৌলভীবাজার জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিছবাহুর রহমান বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে দুটি জেলায় শুধু সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকল পদে ভোট হয়েছে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায়। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট খায়রুল কবির রোমেন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুটের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হন মুকুট। এর আগেও তিনি দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। অপর দিকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে অনায়াসে বিজয়ী হযেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভােকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৭৭ ভোট। সিলেটে নির্বাচিত হলেন যারা সিলেটের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভােকেট নাসির উদ্দিন খানের পরিষদে যোগ দিতে বিজয়ী হয়েছেন ৫ জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও ১৩ জন সাধারণ সদস্য। সোমবার ভোট গ্রহণ শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী রিটার্নিং অফিসার। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সাধারণ সদস্য পদে সিলেট জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন) বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা মো. মুহাদ্দিক আহমদ। ২নং ওয়ার্ডে (দক্ষিণ সুরমা উপজেলা) হাতি প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি ৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মকবুল হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা) বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী ৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিদুর রহমান রুমান তালা প্রতীক নিয়ে ২৮ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও আরেক প্রার্থী আবদুল আউয়াল কয়েস হাতি মার্কায় পেয়েছেন ২৪টি ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে (বালাগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে লড়াই করে মো. নাসির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। ৫নং ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ সিএনজি অটোরিকশা প্রতীকে ৪৩টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
Discussion about this post