মোঃ রাকিব হোসেন, কুমারখালী প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া কুমারখালী কয়া ইউনিয়নের ঘোড়ার ঘাটে সরকার নির্ধারিত খেয়া ঘাটের ১০ টাকার ভাড়া ৭ টাকা করায় বিপাকে পড়েছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন। রবিবার বেলা ১২ টার সময় তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই সব কথা তিনি বলেন। তিনি বলেন, জনস্বার্থে ঘাট কতৃপক্ষ কে সুপারিশ করে ঘাটের ভাড়া কুমিয়েছি। কিন্তু এক শ্রেণীর জনগণ আমাদের নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। ঘাট ইজারাদার ও ঘাট সংশ্লিষ্ট কোন কাজে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।কিন্তু এক শ্রেণীর জনগণ আমার নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। ঘাট ইজারাদার ও ঘাট সংশ্লিষ্ট কোন কাজে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
জানা যায়, জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও জেলা পরিষদ আন্ত:জেলা খেয়া ঘাটের প্রস্তুতকৃত নতুন টোলের চার্ট অনুযায়ী ইঞ্জিন চালিত নৌকা প্রতিজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ও ১৫ কেজি মালামালসহ ১ বা তদুর কিঃমিঃ ১০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত করে একটি প্রজ্ঞাপন বিভাগীয় কমিশনার গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর জারি করে। সেই থেকে ঘোড়ার ঘাটের খেয়া ঘাটে প্রতিজন মানুষের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে টোল আদায় করতে থাকে ঘাট ইজারাদাররা। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেনের নজরে আসেলে। ১০ টাকার ঘাট ভাড়া ৭ টাকা করে।
ঘাট ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতি ৭ টাকা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী ঘাট ইজারাদাররা তা মেনে নেয় এবং জনপ্রতি ৭ টাকা হারে ঘাটের টোল আদায় করে আসছে।
ঘাট পরিচালনা সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ঘোড়ার ঘাট ২০২১ সালে জনপ্রতি ৩ টাকা, ২০২২ সালে ৪ টাকা, হারে আমরা ঘাটের টোল আদায় চলছিল।
গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে বিভাগীয় কমিশনার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘাটের টোল আদায়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় । আমরা ১০ টাকা হারে টোল আদায় করছিলাম। কিন্তু জনস্বার্থে চেয়ারম্যান ৭ টাকা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। আমরা চেয়ারম্যান এর সুপারিশ মেনে নিয়েছি।
এই বিষয়ে কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন জানান, ঘাট ইজারাদেয় জেলা পরিষদ। টোল বাড়িয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন করছে তারা ইতি মধ্যে প্রজ্ঞাপনটি উপজেলা প্রশাসন ও থানা বরাবর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post