আবুল কাশেম রুমনঃ সিলেট জুড়ে সম্পত্তির ও পারিবারি বিরোধের জেরে বেশির ভাগ হত্যা-হামলা-মামলা শীর্ষে রয়েছে। প্রবাসী অধ্যাসিত এলাকা সিলেটে প্রতিদিন সংবাদপত্র কিংবা অনলাইনের পাতায় দৃষ্টি পড়লেই দেখা যায় নানা ধরণের ঘটনার প্রতিচিত্র। জমি,সম্পত্তির ও পারিববারিক ঘটনা নিয়ে বিরোধের সহিংসতা, প্রাণহানি, আহত মানুষের সংখ্যা ও জেরে সহিংসতা নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে প্রতিদিন জেলার কোথাও না কোথায়। সিলেটের যে জেলা গুলোর মধ্যে বিরোধে শীর্ষের রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জমি নিয়ে বিরোধ ও সহিংসতা ও জীবন ও খেলার মতো ঘটনা।
বেশ কিছু দিন পূর্বে একটি স্টাডিজের গবেষণায় এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, জমি সংক্রান্ত (সিজিএস) করা তিনটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে বিরোধ থেকে হামলা, খুন, মামলা, সম্পত্তি ধ্বংস,দখল,এর কথা উঠে এসেছে। তরা মধ্যে রয়েছে অপহরণ, জিম্মি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ।
সিজিএসের গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০১৪ সালের আদালতে জমিসংক্রান্ত প্রায় ১৪ লাখ মামলা অমীমাংসিত। জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সিজিএসের গবেষণা বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল সহিংসতায় ময়মনসিংহ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিহতের পর্যন্ত সময়ে জমির বিরোধে ২ হাজার ৬৯৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে হবিগঞ্জ, ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, ২০২০ সালে, ৬৩৩টি। আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ঢাকা, সিলেট ও বড়। এসব জেলার প্রতিটিতে ৪০/৪৯১ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২০-এ ছয় বছরে দেশে মোট ২০ হাজার গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ১০ জেলার বাইরে অন্যান্য ৪৬৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতি ১৭টি খুনের জেলার কৃষি ও জলবাযুর ওপর নির্ভরশীলতা কম। এ একটির নেপথ্যে ছিল জমিসংক্রান্ত বিরোধ। এ ছাড়া একই কারণে জমি নিয়ে সহিংসতা ও মৃত্যু কম নয়। সে সময়ে মোট ২৮ হাজার ৯৭১টি হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের বড় কারণ। ২০টি হামলার একটি হয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে। ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ও দুর্নীতি। উত্তরাধিকারীরা জমি নিয়ে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জমি নিয়ে বিরোধ ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে জড়ান, যা মেটানোর কার্যকর সহিংসতায় নিহত হন ১ হাজার ২১০ জন। আহত হন ১৪ ব্যবস্থার ঘাটতি আছে। জমির প্রচুর জাল দলিল হয়। এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মামলা চলছে আদালতে। এর পাশাপাশি লাঞ্ছিত করা, সম্পত্তি রেকর্ডে গাফলাতি, একজনের জমি আরেক জনের নামে ধ্বংস করা, মারামারি, যৌন নিপীড়ন ও অপহরণের মতো ঘটনা রেকর্ড হয়। বিরোধ তৈরি হয় সিলেটে বেশির ভাগ সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তখন প্রায়ই সহিংসতাও ঘটে। আবার দেখা যায়,সংঘর্ষের ঘটনা মূলত ঘটে প্রতিবেশী, সার্বিক ভাবে দুর্বল ব্যবস্থাপনাই বিরোধে ও মামলার কারণ।
সিলেট বিভাগে ঃ তাছাড়া দেখা যায় গত কয়েক বছরে সিলেট বিভাগে যে হত্যাকাণ্ড গুলো ঘটেছে তার বেশির ভাগই পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ থেকে। সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সিলেট জেলায় হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে ৫০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪৬টির, ২০১৬ সালে খুনের মামলা হয়েছে ৪০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২৯টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৫২টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৫টির এবং ২০১৮ সালের মামলা হয়েছে ৩৫টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২টির।
হবিগঞ্জ জেলায় ঃ ২০১৫ সালে হবিগঞ্জ জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৮৯টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৭০টির, ২০১৬ সালে মামলা হয়েছে ৭১টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৫৭টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৮৭টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৫৩টির এবং ২০১৮ সালের মামলা হয়েছে ২৫টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১টির। ১৮ জুন ২০১৯ থেকে ১৭ জুন ২০২০ পর্যন্ত ৫৩টি হত্যা মামলা হয়েছে সিলেটে। অপর দিকে ১৮ জুন ২০২০ থেকে ১৭ জুন ২০২১ পর্যন্ত ৬১টি হত্যা মামলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলায় ঃ ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জ জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৪৮টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৮টির, ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ড মামলা হয়েছে ৫৩টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪৩ টির, ২০১৭ সালে হত্যাকাণ্ড মামলা হয়েছে ৫৬ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩২ টির এবং ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ১১ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২টির।
মৌলভীবাজার জেলায় ঃ ২০১৫ সালে মৌলভীবাজার জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৫০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৭ টির, ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ড মামলা হয়েছে ৪২ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২৮ টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৪৯ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২২ টির এবং ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ১৫ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১টির।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত বাড়ছে অপরাধ সিলেটে। পারিবারিক কলহ, পূর্বশত্রুতার জের, সম্পর্কের অবক্ষয়, পরকীয়া, ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি স্বার্থে দ্বন্দ্ব, ছিনতাই, মামুলি বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি, এমনকি ঝগড়া-বিবাদ থামাতে গিয়েও একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড,আহত হচ্ছে অনেকে। সব কিছু পেছ দেখা যাচ্ছে পারিবারিক বিরোধ কিংবা সম্পত্তির ঝামেলা ।
তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিলেটে আলোচিত হয়েছে হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের ঘটনা, এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে খুন হন রায়হান আহমদ। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্তবর্তী গ্রামে চাচা-ফুফুদের হাতে খুন হয় তোফাজ্জুল হোসেন (৭) বছরের শিশু। বড়লেখায় সীমান্তবর্তী পাল্লাথল চা বাগানে নির্মল তার স্ত্রী-শাশুড়ীসহ ৪ জনেক হত্যার ঘটনা এর পেছনে রয়েছে পারিবারিক কলহ। সিলেট নগরীর টিলাগড়ে সরস্বতী পূজা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী খুন অভিষেক দে দ্বীপ (১৮)। নগরীর জিন্দাবাজারে হকারদের হামলায় প্রাণ হারান নজরুল ইসলাম মুন্না (২১) নামের এক কলেজ ছাত্র। টিলাগড়ে এমসি কলেজে নববধূকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশ জুড়ে বেশ আলোচিত হয়। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্বজামী এলাকায় তালাবদ্ধ ঘরে মা মেয়ের রক্তাক্ত লাশ। বিশ্বনাথের সিঙ্গেরকাছ পাকা রাস্তায় দক্ষিণের ডোবা জমি থেকে মাদ্রাসা ছাত্র রবিউল (১১)এর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার। সিলেট নগরীর শিববাড়ীতে মাদক বিক্রিতে রাজী না হওয়ায় মাদক বিক্রেতাদের হামলায় খুন হয় জহিরুল ইসলাম (১৬) নামের এক কিশোর । এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সমাজ বিশ্লেষকদের মতে মানুষের মধ্য থেকে নীতি নৈতিকতা, শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক অবজ্ঞয়ের কারণে এ ধরণের ঘটনা বেশির ভাগ ঘটছে। এসব থেকে মুক্তি পেলে সবাই সচেতন হতে এবং শক্তিশালি করতে ন্যায়নিতী বিচার বিবেককে।
সিজিএসের গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০১৪ সালের আদালতে জমিসংক্রান্ত প্রায় ১৪ লাখ মামলা অমীমাংসিত। জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সিজিএসের গবেষণা বলছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল সহিংসতায় ময়মনসিংহ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিহতের পর্যন্ত সময়ে জমির বিরোধে ২ হাজার ৬৯৭টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে হবিগঞ্জ, ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা, রাজশাহী, সুনামগঞ্জ, ২০২০ সালে, ৬৩৩টি। আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ঢাকা, সিলেট ও বড়। এসব জেলার প্রতিটিতে ৪০/৪৯১ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২০-এ ছয় বছরে দেশে মোট ২০ হাজার গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ১০ জেলার বাইরে অন্যান্য ৪৬৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতি ১৭টি খুনের জেলার কৃষি ও জলবাযুর ওপর নির্ভরশীলতা কম। এ একটির নেপথ্যে ছিল জমিসংক্রান্ত বিরোধ। এ ছাড়া একই কারণে জমি নিয়ে সহিংসতা ও মৃত্যু কম নয়। সে সময়ে মোট ২৮ হাজার ৯৭১টি হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিটি ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের বড় কারণ। ২০টি হামলার একটি হয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে। ব্যবস্থাপনার ঘাটতি ও দুর্নীতি। উত্তরাধিকারীরা জমি নিয়ে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জমি নিয়ে বিরোধ ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধে জড়ান, যা মেটানোর কার্যকর সহিংসতায় নিহত হন ১ হাজার ২১০ জন। আহত হন ১৪ ব্যবস্থার ঘাটতি আছে। জমির প্রচুর জাল দলিল হয়। এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মামলা চলছে আদালতে। এর পাশাপাশি লাঞ্ছিত করা, সম্পত্তি রেকর্ডে গাফলাতি, একজনের জমি আরেক জনের নামে ধ্বংস করা, মারামারি, যৌন নিপীড়ন ও অপহরণের মতো ঘটনা রেকর্ড হয়। বিরোধ তৈরি হয় সিলেটে বেশির ভাগ সীমানা নির্ধারণ নিয়ে তখন প্রায়ই সহিংসতাও ঘটে। আবার দেখা যায়,সংঘর্ষের ঘটনা মূলত ঘটে প্রতিবেশী, সার্বিক ভাবে দুর্বল ব্যবস্থাপনাই বিরোধে ও মামলার কারণ।
সিলেট বিভাগে ঃ তাছাড়া দেখা যায় গত কয়েক বছরে সিলেট বিভাগে যে হত্যাকাণ্ড গুলো ঘটেছে তার বেশির ভাগই পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ থেকে। সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সিলেট জেলায় হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে ৫০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪৬টির, ২০১৬ সালে খুনের মামলা হয়েছে ৪০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২৯টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৫২টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৫টির এবং ২০১৮ সালের মামলা হয়েছে ৩৫টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২টির।
হবিগঞ্জ জেলায় ঃ ২০১৫ সালে হবিগঞ্জ জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৮৯টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৭০টির, ২০১৬ সালে মামলা হয়েছে ৭১টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৫৭টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৮৭টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৫৩টির এবং ২০১৮ সালের মামলা হয়েছে ২৫টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১টির। ১৮ জুন ২০১৯ থেকে ১৭ জুন ২০২০ পর্যন্ত ৫৩টি হত্যা মামলা হয়েছে সিলেটে। অপর দিকে ১৮ জুন ২০২০ থেকে ১৭ জুন ২০২১ পর্যন্ত ৬১টি হত্যা মামলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলায় ঃ ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জ জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৪৮টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৮টির, ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ড মামলা হয়েছে ৫৩টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৪৩ টির, ২০১৭ সালে হত্যাকাণ্ড মামলা হয়েছে ৫৬ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩২ টির এবং ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ১১ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২টির।
মৌলভীবাজার জেলায় ঃ ২০১৫ সালে মৌলভীবাজার জেলায় খুনের মামলা হয়েছে ৫০টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ৩৭ টির, ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ড মামলা হয়েছে ৪২ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২৮ টির, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৪৯ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ২২ টির এবং ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ১৫ টি, এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১টির।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত বাড়ছে অপরাধ সিলেটে। পারিবারিক কলহ, পূর্বশত্রুতার জের, সম্পর্কের অবক্ষয়, পরকীয়া, ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি স্বার্থে দ্বন্দ্ব, ছিনতাই, মামুলি বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি, এমনকি ঝগড়া-বিবাদ থামাতে গিয়েও একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড,আহত হচ্ছে অনেকে। সব কিছু পেছ দেখা যাচ্ছে পারিবারিক বিরোধ কিংবা সম্পত্তির ঝামেলা ।
তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিলেটে আলোচিত হয়েছে হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের ঘটনা, এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে খুন হন রায়হান আহমদ। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্তবর্তী গ্রামে চাচা-ফুফুদের হাতে খুন হয় তোফাজ্জুল হোসেন (৭) বছরের শিশু। বড়লেখায় সীমান্তবর্তী পাল্লাথল চা বাগানে নির্মল তার স্ত্রী-শাশুড়ীসহ ৪ জনেক হত্যার ঘটনা এর পেছনে রয়েছে পারিবারিক কলহ। সিলেট নগরীর টিলাগড়ে সরস্বতী পূজা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী খুন অভিষেক দে দ্বীপ (১৮)। নগরীর জিন্দাবাজারে হকারদের হামলায় প্রাণ হারান নজরুল ইসলাম মুন্না (২১) নামের এক কলেজ ছাত্র। টিলাগড়ে এমসি কলেজে নববধূকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশ জুড়ে বেশ আলোচিত হয়। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্বজামী এলাকায় তালাবদ্ধ ঘরে মা মেয়ের রক্তাক্ত লাশ। বিশ্বনাথের সিঙ্গেরকাছ পাকা রাস্তায় দক্ষিণের ডোবা জমি থেকে মাদ্রাসা ছাত্র রবিউল (১১)এর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার। সিলেট নগরীর শিববাড়ীতে মাদক বিক্রিতে রাজী না হওয়ায় মাদক বিক্রেতাদের হামলায় খুন হয় জহিরুল ইসলাম (১৬) নামের এক কিশোর । এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সমাজ বিশ্লেষকদের মতে মানুষের মধ্য থেকে নীতি নৈতিকতা, শ্রদ্ধাবোধ ও সামাজিক অবজ্ঞয়ের কারণে এ ধরণের ঘটনা বেশির ভাগ ঘটছে। এসব থেকে মুক্তি পেলে সবাই সচেতন হতে এবং শক্তিশালি করতে ন্যায়নিতী বিচার বিবেককে।
Discussion about this post