ইমা এলিস/ নিউ ইয়র্ক: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের আগমনে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনন্দ সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ এবং একই সাথে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার রাত সোয়া ১০টায় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমাবন্দরের পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটটি চার নম্বর টার্মিনালে অবতরণের আগেই বাইরে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা টার্মিনাল এলাকা।
সোমবার সন্ধ্যা থেকেই জেএফকে বিমাবন্দরে জড়ো হয় প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে আসা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন। টার্মিনালের আরেক পাশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রতিবাদসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উভয় দলের নেতাকর্মিরা যথা সময়ে ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিংলটের স্থান ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পরে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ম্যানহাটনের অভিজাত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আনন্দ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামীলীগের সভাপতি ড সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, আ.লীগ নেতা আব্দুল হাসিব মামুন, দেওয়ান বজলু চৌধুরী, আশরাফুজ্জামান, খোরশেদ খন্দকার, মোর্শেদা জামান, আতাউল গনি আসাদ, আলী হোসেন গজনবী, তারিকুল হায়দার চৌধুরী, শাখাওয়াত বিশ্বাস ও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সেবুল মিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মীরা উক্ত আনন্দ সমাবেশে যোগ দেন।
অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মিরা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।
Discussion about this post