ইমা এলিস/নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রব-রুহুল পরিষদ জয়লাভ করেছে। নির্বাচন কমিশনের তৈরি ছক মোতাবেক গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এবারে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়লাভ করেছেন ইসিসহ রব-রুহুল পরিষদ। গত চার বছর ধরে এমনটাই আশঙ্কা করে আসছিলেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নানা অভিযোগে দফায় দফায় মামলা মোকাদ্দমার ফলে চার বছর স্থগিত ছিলো এ নির্বাচন। অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীরা। গত চার বছর ধরে তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিষদকে জয়যুক্ত করতে গোপনে যে পরিকল্পনা করেছিলেন শেষ পর্যন্ত তাই করেছেন তিনি।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আব্দুর রব মিয়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে রুহুল আমীন সিদ্দিকী নির্বাচিত হয়েছেন। নিউ ইয়র্ক সিটির ৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে মধ্যরাত ১২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দসহ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা, দুই পরিষদের প্রার্থী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
নানা অভিযোগে মামলা মোকাদ্দমার ফলে প্রায় চার বছর স্থগিত থাকা এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবরে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিযোগ ওঠে যে বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুকৌশলে রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়াকে ব্যালট পেপারে ‘এ লাইনের সুবিধা নেওয়ার জন্য’ তথাকথিত হলফনামার নামে আবদুর রব মিয়া হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করিয়েছেন। বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার তালিকায় তার নাম পরিস্কারভাবে মোঃ রব মিয়া লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাছাড়া তিনি নোয়াখালী সমিতির নির্বাচনেও মোঃ রব মিয়া নামে নির্বাচন করেছেন এবং তার বৈধ পরিচয় পত্র আবদুর রব মিয়া নামে কোন নাম নেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন অন্তত দুইজন সতন্ত্র প্রার্থীর নমিনেশন পেপার অসম্পূর্ণ ছিল। তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারেন নেই। এই দু’জনকে সেই ব্রুকলিন থেকে পাসপোর্ট এনে মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণ করার সুযোগ করে দিয়েছিলে এই নির্বাচন কমিশনার।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যালটে দেখা যায় মোঃ রব মিয়ার নাম মোহাম্মদ আর মিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। প্যানেল প্রধানদের নামের অদ্যাক্ষর কিংবা শেষ নাম দিয়ে ব্যালট সাজানো হলে মোহাম্মদ আর মিয়া’র প্রথম এবং শেষ নামের অক্ষর ‘এম’ যেত এ এর পরিবর্তে বি লাইনে। এদিকে অপর প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন-এর প্রথম ও শেষ নামের অদ্যাক্ষর কে এবং এইচ। সেই মোতাবেক তার নাম যেত বি এর পরিবর্তে এ লাইনে। নির্বাচন কমিশন কোন নিয়মে ব্যালট পেপার সাজিয়েছেন তা কারোই বোধগম্য নয়। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের ইতিহাসে এমন অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এর আগে আর কখনো দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৭ জন কামিশনার নির্বাচন পরিচালনা করবেন এর মধ্যে ১জন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থাকবেন। সোসাইটির কার্যকরি পরিষদ ৭ জনকেই মনোনীত করেছেন। ৭জনের মধ্যে একজন কমিশনার ছিলেন মহিউদ্দিন দেওয়ান, তিনি মনোনয়ন পেয়ে যথারীতি নির্বাচন কমিশনের নীতি-নির্দ্ধারনী সভায় অংশগ্রহণও করেন। তাছাড়া বাইলজসহ সকল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। ওই সময় তার স্বাক্ষরিত নির্বাচনী তফসিল স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। হয়েছে। হঠাৎ করেই তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য ইসি পদ থেকে পদত্যাগ করে রব-রুহুল পরিষদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন। গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ১৬ সেকশন ৪ ক্লাউজ এ-বি’তে উল্লেখ আছে যে, নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এমন কি ভোটও প্রদান করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন কি ভাবে কোন আইনের ভিত্তিতে তাকে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের বৈধতা ঘোষণা করেন তা কারোই জানা নেই। এ নিয়ে প্রবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন?
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর, রোববার সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনে দু’টি প্যানেলসহ কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রব-রুহুল পরিষদ থেকে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের ১৯ পদে ১৯জন আর নয়ন-আলী পরিষদ থেকে ১৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সোসাইটির সাবেক সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সভাপতি পদে এবং সোহেল সাধারন সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও নির্বাচনী কর্মকান্ডে জয়নাল আবেদীন ও সোহেলের কোন প্রচার প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এই দুই প্রার্থী নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় দূরে ছিলেন।
রব-রুহুল প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি পদে আবদুর রব মিয়া ৩১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাজী আশরাফ হোসেন পেয়েছেন ২৫৪০ ভোট ও জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ৬৭ ভোট, সাধারন সম্পাদক পদে রুহুল আমিন সিদ্দিকী (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ৩১৮৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন ২৪৪০ ভোট, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান পেয়েছেন ৩২১৪ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুর রহিম হাওলাদার পেয়েছেন ২৪২০ ভোট, সহ-সভাপতি পদে-ফারুক ইউ চৌধুরী পেয়েছেন ৩০৫২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেজাউল করিম সগির পেয়েছেন ২৪৪৯ ভোট, সহ-সাধারন সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ২৮৭৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মিয়া মোহাম্মদ দুলাল পেয়েছেন ২৬৫০ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. নওশেদ হোসেন পেয়েছেন ২৯৮২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ খান ডিউক পেয়েছেন ২৫৩৩ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবুল কালাম ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৯৩৭ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আহসান হাবীব পেয়েছেন ২৫৯৪ ভোট, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- ডা.শাহনাজ লিপি পেয়েছেন ২৯৯০ ভোট,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনিকা রায় পেয়েছেন ২৫৬০ ভোট, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদে রিজু মোহাম্মদ (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ৩২৯১ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শেখ হায়দার আলী পেয়েছেন ২২৩৯ ভোট, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে খান মোহাম্মদ টিপু পেয়েছেন ২৯৪৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাশেম চৌধুরী পেয়েছেন ২৫৩২ ভোট, সাহিত্য সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমদ পেয়েছেন ৩০২০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ হাসান জিলানী পেয়েছেন ২৪৯৩ ভোট, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মাইনুল উদ্দিন মাহবুব পেয়েছেন ২৯৭৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ রশিদ রানা পেয়েছেন ২৫৫১ ভোট, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক পদে প্রদীপ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ২৭৫৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ সামাদ মিয়া (জাকির) পেয়েছেন ২৬৭২ ভোট, এবং কার্যকরী সদস্য পদে মো. সাদী মিন্টু (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ২৯১৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাইদুর খান ডিউক পেয়েছেন ২২৫১ ভোট, ফারহানা চৌধুরী (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ৩২১০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মাহমুদ আলম পেয়েছেন ২৩৪০ ভোট, শাহ মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২৯০৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ সিদ্দিক পেয়েছেন ২৬০৬ ভোট, আবুল বাশার ভুঁইয়া পেয়েছেন ২৯৯৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আহসান উল্লাহ মামুন পেয়েছেন ২৫০৩ ভোট, মো. এ আখতার পেয়েছেন ৩১৬৭ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ ছিলেন না) এবং সুশান্ত দত্ত পেয়েছেন ২৯৪৯ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ ছিলেন না)।
নানা অভিযোগে মামলা মোকাদ্দমার ফলে প্রায় চার বছর স্থগিত থাকা এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবরে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিযোগ ওঠে যে বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুকৌশলে রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়াকে ব্যালট পেপারে ‘এ লাইনের সুবিধা নেওয়ার জন্য’ তথাকথিত হলফনামার নামে আবদুর রব মিয়া হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করিয়েছেন। বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার তালিকায় তার নাম পরিস্কারভাবে মোঃ রব মিয়া লিপিবদ্ধ রয়েছে। তাছাড়া তিনি নোয়াখালী সমিতির নির্বাচনেও মোঃ রব মিয়া নামে নির্বাচন করেছেন এবং তার বৈধ পরিচয় পত্র আবদুর রব মিয়া নামে কোন নাম নেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন অন্তত দুইজন সতন্ত্র প্রার্থীর নমিনেশন পেপার অসম্পূর্ণ ছিল। তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারেন নেই। এই দু’জনকে সেই ব্রুকলিন থেকে পাসপোর্ট এনে মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণ করার সুযোগ করে দিয়েছিলে এই নির্বাচন কমিশনার।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যালটে দেখা যায় মোঃ রব মিয়ার নাম মোহাম্মদ আর মিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। প্যানেল প্রধানদের নামের অদ্যাক্ষর কিংবা শেষ নাম দিয়ে ব্যালট সাজানো হলে মোহাম্মদ আর মিয়া’র প্রথম এবং শেষ নামের অক্ষর ‘এম’ যেত এ এর পরিবর্তে বি লাইনে। এদিকে অপর প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন-এর প্রথম ও শেষ নামের অদ্যাক্ষর কে এবং এইচ। সেই মোতাবেক তার নাম যেত বি এর পরিবর্তে এ লাইনে। নির্বাচন কমিশন কোন নিয়মে ব্যালট পেপার সাজিয়েছেন তা কারোই বোধগম্য নয়। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনের ইতিহাসে এমন অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি এর আগে আর কখনো দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৭ জন কামিশনার নির্বাচন পরিচালনা করবেন এর মধ্যে ১জন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান থাকবেন। সোসাইটির কার্যকরি পরিষদ ৭ জনকেই মনোনীত করেছেন। ৭জনের মধ্যে একজন কমিশনার ছিলেন মহিউদ্দিন দেওয়ান, তিনি মনোনয়ন পেয়ে যথারীতি নির্বাচন কমিশনের নীতি-নির্দ্ধারনী সভায় অংশগ্রহণও করেন। তাছাড়া বাইলজসহ সকল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। ওই সময় তার স্বাক্ষরিত নির্বাচনী তফসিল স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। হয়েছে। হঠাৎ করেই তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য ইসি পদ থেকে পদত্যাগ করে রব-রুহুল পরিষদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন। গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ১৬ সেকশন ৪ ক্লাউজ এ-বি’তে উল্লেখ আছে যে, নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এমন কি ভোটও প্রদান করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন কি ভাবে কোন আইনের ভিত্তিতে তাকে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের বৈধতা ঘোষণা করেন তা কারোই জানা নেই। এ নিয়ে প্রবাসীদের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন?
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর, রোববার সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনে দু’টি প্যানেলসহ কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রব-রুহুল পরিষদ থেকে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের ১৯ পদে ১৯জন আর নয়ন-আলী পরিষদ থেকে ১৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সোসাইটির সাবেক সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সভাপতি পদে এবং সোহেল সাধারন সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও নির্বাচনী কর্মকান্ডে জয়নাল আবেদীন ও সোহেলের কোন প্রচার প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে এই দুই প্রার্থী নির্বাচন থেকে স্বেচ্ছায় দূরে ছিলেন।
রব-রুহুল প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি পদে আবদুর রব মিয়া ৩১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাজী আশরাফ হোসেন পেয়েছেন ২৫৪০ ভোট ও জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ৬৭ ভোট, সাধারন সম্পাদক পদে রুহুল আমিন সিদ্দিকী (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ৩১৮৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন ২৪৪০ ভোট, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান পেয়েছেন ৩২১৪ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুর রহিম হাওলাদার পেয়েছেন ২৪২০ ভোট, সহ-সভাপতি পদে-ফারুক ইউ চৌধুরী পেয়েছেন ৩০৫২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেজাউল করিম সগির পেয়েছেন ২৪৪৯ ভোট, সহ-সাধারন সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ২৮৭৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মিয়া মোহাম্মদ দুলাল পেয়েছেন ২৬৫০ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. নওশেদ হোসেন পেয়েছেন ২৯৮২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ খান ডিউক পেয়েছেন ২৫৩৩ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবুল কালাম ভূঁইয়া পেয়েছেন ২৯৩৭ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আহসান হাবীব পেয়েছেন ২৫৯৪ ভোট, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- ডা.শাহনাজ লিপি পেয়েছেন ২৯৯০ ভোট,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনিকা রায় পেয়েছেন ২৫৬০ ভোট, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক পদে রিজু মোহাম্মদ (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ৩২৯১ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শেখ হায়দার আলী পেয়েছেন ২২৩৯ ভোট, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে খান মোহাম্মদ টিপু পেয়েছেন ২৯৪৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাশেম চৌধুরী পেয়েছেন ২৫৩২ ভোট, সাহিত্য সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমদ পেয়েছেন ৩০২০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ হাসান জিলানী পেয়েছেন ২৪৯৩ ভোট, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মাইনুল উদ্দিন মাহবুব পেয়েছেন ২৯৭৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ রশিদ রানা পেয়েছেন ২৫৫১ ভোট, স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক পদে প্রদীপ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ২৭৫৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ সামাদ মিয়া (জাকির) পেয়েছেন ২৬৭২ ভোট, এবং কার্যকরী সদস্য পদে মো. সাদী মিন্টু (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ২৯১৩ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাইদুর খান ডিউক পেয়েছেন ২২৫১ ভোট, ফারহানা চৌধুরী (পুন:নির্বাচিত) পেয়েছেন ৩২১০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মাহমুদ আলম পেয়েছেন ২৩৪০ ভোট, শাহ মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২৯০৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ সিদ্দিক পেয়েছেন ২৬০৬ ভোট, আবুল বাশার ভুঁইয়া পেয়েছেন ২৯৯৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আহসান উল্লাহ মামুন পেয়েছেন ২৫০৩ ভোট, মো. এ আখতার পেয়েছেন ৩১৬৭ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ ছিলেন না) এবং সুশান্ত দত্ত পেয়েছেন ২৯৪৯ ভোট (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কেউ ছিলেন না)।
Discussion about this post