মো: ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধি: এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক মায়ের নামে সহিদা খাতুন গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা সদরের পাঁচ কিংবা সাত কিলোমিটারের মধ্যে কোন বালিকা বিদ্যালয় নেই। পাঁচ লক্ষ লোকের জন্য ভরসা উপজেলা সদর থেকে ১০কিলোমিটার দূরের বালিকা বিদ্যালয়টি। উপজেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১৯ বছর পরে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ৩ একর ভূমি দান করে সুবর্ণচরের মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক। মায়ের নামে সহিদা খাতুন গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে উপজেলাবাসীকে উপহার দিচ্ছেন একটি গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ। সুবর্ণচরের অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে এর আগেও ১১টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন,এলাকার মেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য বিদ্যোৎসাহী মহল একটি গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। বালিকা বিদ্যালয় গড়ার চিন্তাভাবনাকে রুপদান উদ্দেশে এবং এ অঞ্চলে নারীশিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে একটি মানসম্মত গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনেক দিন থেকে অনুভব করে আসছিলাম।তাই মায়ের নামে সহিদা খাতুন গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৩ একর ভূমি দান করতে সম্মত হই।
সুবর্ণচরের বাসিন্দা ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি ছায়েদুল হক ভূঞাঁ বলেন, শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে, ভূমি দাতা এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলাটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে কোনো গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ নেই। উপজেলার একটি মাত্র স্কুল জাতীয়করণ হয়ে গেলে কয়েকজন ব্যক্তি ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার অসুবিধার কথা চিন্তা করে এ বছর আগে গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এতে পাওয়া যায় সবার সহায়তাও।
তিনি আরো বলেন,গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ স্থাপনের লক্ষে দফায় দফায় মতবিনিময় সভা করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় নতুন বিদ্যালয়ের পথ চলাও।
প্রত্যন্ত এই এলাকায় গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ চালু হওয়ায় খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আর দূরের প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হবে না ভেবে স্বস্তির নিশ্বাসও ফেলছেন তাঁরা।
Discussion about this post