নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদবোঝাই দুটি কন্টেইনার আটক করেছে র্যাব-১১। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটককৃত মদের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় গণনা শেষ করা যায়নি।
আটকরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার নাগেরহাট গ্রামের মৃত শেখ জয়নুল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও একই জেলার শ্রীনগর থানার ষোলঘর ভুইচিত্র গ্রামের মো. আক্কাস মোল্লার ছেলে মো. নাজমুল মোল্লা।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের টিপরদি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিয়ারবাহী দুটি কন্টেইনার আটক করা হয়।
পরে শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শুক্রবার সন্ধায় দুটি কন্টেইনারবাহী লরি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২টায় তল্লাশি চৌকি বসিয়ে আগত সকল লরিতে তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে আমরা মদ ও বিয়ার পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি দুটিকে আটক করি। পরে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে ওই কন্টেইনার দুটি খোলা হয়। কন্টেইনার খুলে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পাওয়া যায়। গণনা শেষে এর পরিমাণ ও মূল্য সম্পর্কে অবহিত করা হবে। আটকের পর আমাদের যে কাগজ দেখানো হয়েছে, তাতে একটিতে সুতা ও অপরটিতে যন্ত্রাংশ রয়েছে বলে উল্লেখ ছিল। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. সফিউদ্দিন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, রবিব মেশিনের ববিনের ঘোষণা দিয়ে বিএইচকে টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড একটি কন্টেইনার ও হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড সুতার ঘোষণা দিয়ে জাফর আহমেদ নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে কন্টেইনার দুটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বিশেষভাবে জালিয়াতি করে চার নম্বর গেটের স্ক্যানিং রিপোর্ট নিয়ে এক নম্বর গেট দিয়ে লরি দুটি বের হয়ে যায়। তবে স্ক্যানিংয়ের যেই কাগজপত্র তারা দেখিয়েছেন, সেটি ভুয়া ছিল। আমারা যখন বিষয়টি শনাক্ত করতে সক্ষম হই, তখন বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো হলে র্যাব-১১ কন্টেইনারবাহী লরি দুটিকে আটক করে।
জাল কাগজ দেখিয়ে বন্দর থেকে কীভাবে তারা বেড়িয়ে গেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তদন্ত করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাদের অবহিত করা হবে। এতে আমাদের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যারা আমদানিকারক রয়েছেন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট রয়েছেন তাদের এতে সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post