আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: পাহাড় ঘেরা সিলেটে অতি বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে প্রতিনিয়ত পাহাড় ধসে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। ঝুকিতে আছে কয়েক হাজার মানুষ।
কত কয়েক দিনে সিলেটে টিলা ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। সোমবার (৬ জুন) ভোরে জৈন্তাপুরে টিলা ধসে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তাছাড়া ভারি বর্ষণে ১৪ মে ভোররাতে গোলাপগঞ্জে টিলার মাটি ধসে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রাণ হারান প্রাক্তন শিক্ষক এনজিও কর্মী অপু লাল রায় (৩০)। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নে টিলা ধসে ৬টি বসতঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় টিলার পাদদেশে অন্তত ১০ সহ¯্রধিক পরিবার বসবাস করছেন। অথচ তাদের সরিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় হচ্ছে না। আর ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীরাও নানা কারণে সরতে চান না। বর্ষায় ভারি বর্ষণে পাহাড় টিলাধস দেখা দিলেই মাইকিং করিয়ে হাক ডাক ও নির্দেশনার মধ্যে প্রশাসনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০২ সালে শাহী ঈদগাহ এলাকায় ৪ জন, ২০০৫ সালে গোলাপগঞ্জে টিলা ধসে একই পরিবারের ৩ জন, ২০০৯ সালে মৌলভীবাজারে জেরিন চা বাগানে পাহাড় ধসে ৩ জন, একই বছরের ১০ অক্টোবর গোলাপগঞ্জের কানিশাইলে মাটি চাপায় ১ শ্রমিক মারা যান। ২০১৪ সালে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৩ শিশুর মৃত্যু হয়। আর জৈন্তাপুরে পাহাড় ধসে মারা যান আরো ২ শিশু।
২০১১ সালে আদালতের একটি রিটে সিলেটে ১ হাজার ২৫টি টিলার তথ্য পাওয়া যায়। তবে জেলা প্রশাসনে এর কোনো পরিসংখ্যান নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা’র) তথ্য মতে সিলেট নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় ২শ টিলার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এসব টিলার অনেকটিই সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ টিলা অর্ধেক ও আংশিক কেটে ফেলা হয়েছে। আর টিলা কাটা অব্যাহত থাকায় বর্ষায় ধসে পড়ার ঝুঁকি আরো বাড়ছে।
Discussion about this post