বিএম কন্টেইনার নামক কন্টেইনার ডিপোতে গতকাল রাতে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে। সেনা বাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হয়েছেন আগুন নিয়ন্ত্রন কাজে। এতো বিশাল অগ্নিকান্ড এর আগে আর দেখেনি চট্টগ্রামবাসী।
এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৭ কর্মীসহ ৩১ জনের মৃতের খবর পাওয়া গেছে, আহত প্রায় ৪৫০ জনের অধীক। বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে উঠেছে আস পাশের পরিবেশ। শ্বাস প্রশাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করা কর্মীদের ও আস পাশের লোকজনের।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন আহত ব্যক্তির ভাস্যমতে শুরুতে তারা র্দূগ্ধযুক্ত ক্যামিকেল বেরিয়ে আসতে দেখে সিকিউরিটিকে বলেন, পরবর্তীতে কন্টেইনার থেকে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়, একপর্যায়ে কন্টেইনার বিষ্পোরন হয়। কন্টেইনার বিষ্পোরনে চারিদিকে ক্যামিকেল ছড়িয়ে পড়ে ক্যামিকেলের আগুনে সেখানে থাকা অনেকের গায়ে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের আসপাস ও চট্টগ্রাম শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনের কাজ শুরু করে, পরবর্তীতে ফেনী, লক্ষীপুর, কুমিল্লাসহ আরো কয়েকটি যায়গা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরো ৫০-৬০টি ইউনিট অগ্নি নির্বাপক কাজে যুক্ত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যাদের অবস্থা গুরুত্বর তাদেরকে আইসওতে ভর্তি করা হয়েছে, এছাড়াও গুরুত্বর আরো অনেককে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, গুরুত্বর কয়েকজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামের সকল নার্স, চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে কাজে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক স্বেচ্ছাস্বেবক কাজ করছে আহতের চিকিৎসা সেবা দানে।
মোহাম্মদ মোস্তফা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
Discussion about this post