টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ভ্যান চালক হৃদয় হত্যার বিচারে দাবিতে এলাকাবাসী এবং ভ্যান শ্রমিকের বিক্ষোভ মিছিল করছে।
শনিবার (৪জুন) সকালে উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে ভ্যান চালক হৃদয় হত্যার বিচারে দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার এসে বিক্ষোভ মিছিলটি টাঙ্গাইল জেলা ভ্যান শ্রমিক এবং টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা ও ইজিবাইক শ্রমিক সমিতির ছাতিহাটি বাজার শাখা অফিসে এসে শেষ করেছে এলাকাবাসী এবং ভ্যান শ্রমিকরা।
এর আগে অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২২মে রোববার সন্ধ্যায় একটি ফোন পেয়ে সে ভ্যান নিয়ে সুরুজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এঘটনায় হৃদয়ের মা রাশেদা বেগম গত ২৫মে কালিহাতী থানায় একটি অভিযোগ করেন।
নিখোঁজের সাত দিন পর হৃদয়ের মরদেহ গত রোববার বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারোটিয়ার পুংলি নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট সোমবার দুপুরে হস্তান্তর করে সদর থানা পুলিশ। হৃদয় কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। সোমবার (২২ মে) বিকালে নিখোঁজ ভ্যান চালক হৃদয়ের (১৭) মরদেহ ছাতিহাটি সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
হৃদয়ের মা রাশেদা বেগম বলেন, একই এলাকার মৃত লালচাঁনের ছেলে রাজু ও নজরুলের ছেলে ইয়ামিন নতুন ভ্যানের জন্য ফোনে ডেকে নিয়ে হৃদয়কে মেরে সুরুজ নদীতে ফেলে দেয়। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো হৃদয়, ওর বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। আমি অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়ে দুটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। অভাবের কারনে হৃদয়কে পড়াতে পারি নাই। দুই মাস আগে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে নতুন একটি ভ্যান কিনে দিয়েছি। ভ্যান চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করতো।
টাঙ্গাইল জেলা ভ্যান শ্রমিক এবং টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা ও ইজিবাইক শ্রমিক সমিতির ছাতিহাটি বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষােভ মিছিল শেষে বক্তব্যে বলেন, হৃদয় ছোট্ট ছেলে কাজ করার বয়স হয় নাই তবু ওর বাবা না থাকায় হৃদয়কে কাজ করে মাকে ভরনপোষণ করতো তার হত্যা কারিদেরকে ফাঁসি চাই।
ভিক্ষােভ মিছিল শেষে এলাকাবাসী মনির হোসন বক্তব্যে বলেন, হৃদয় এক গরীব মায়ের সন্তান হৃদয়ি ছিলো একমাত্র রোজী – রোজগারের উৎস। তাকে বেশি ভাড়ার লোভ দেখিয়ে হত্যা করে সরুজ ঘাট পারে নদীতে ফেলে দেয় ইয়ামিন আর রাজু। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইয়ামিন এবং রাজু’র ফাঁসি চাই।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশাররফ হোসেন জানান, নিহতের মা বাদি হয়ে মামলা করেছে। মামলার তদন্ত চলছে।
Discussion about this post