যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের স্কুলে হামলার ঘটনায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বন্দুকধারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রায় এক ঘণ্টা দেরি করাটা ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ ছিল বলে স্বীকার করেছে পুলিশ। গত ২৪ মে ওই হামলায় ১৯টি শিশু এবং দুজন শিক্ষক নিহত হয়। একটি শ্রেণিকক্ষে এক ঘণ্টা আটকে রেখে এ হত্যা চালানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেও শ্রেণিকক্ষে ঢোকার চেষ্টা না করে দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্সের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলের। অথচ এ সময়ের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থী ও অন্যরা পুলিশের সাহায্য চেয়ে ৯১১ নাম্বারে ফোন করেছিল। পুলিশ সে ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হামলার ঘটনায় আইন প্রয়োগকারীদের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখে শেষ পর্যন্ত পলিশ ভুল স্বীকার করল।
টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক কর্নেল স্টিভেন ম্যাক্রো শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভুলের স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত কমান্ডারদের শ্রেণিকক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা না করে বাইরে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনীর জন্য অপেক্ষা করে থাকাটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।’
কর্নেল ম্যাক্রো নিশ্চিত করেন, রব এলিমেন্টারি স্কুলে পুলিশের ইউনিট পৌঁছানো এবং শ্রেণিকক্ষে বন্দুকধারী হামলা চালানোর মধ্যে অন্তত ৪০ মিনিটের ব্যবধান ছিল। কর্নেল ম্যাক্রো বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেরি করেছিল কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেননি যে, এটি একটি ‘সক্রিয় গুলিবর্ষণের’ পরিস্থিতি ছিল।
কর্নেল ম্যাক্রো আরও বলেন, ‘কেউ একজন ৯১১ নাম্বারে কয়েক বার ফোন করেছিল। সে ফোনকলে কয়েকজন শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি আট থেকে নয় জন জীবিত আছে বলেও জানানো হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটের দিকে ফোন করে তৎক্ষণাৎ পুলিশ পাঠাতে অপারেটরকে অনুরোধ করে।’
‘কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্তও শ্রেণিকক্ষে ঢোকেননি। পরে মার্কিন সীমান্ত প্রহরা টিমের সদস্যেরা একটি চাবি ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষের দরজা খোলে এবং ভেতরে ঢুকে রামোসকে হত্যা করে।’
‘কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্তও শ্রেণিকক্ষে ঢোকেননি। পরে মার্কিন সীমান্ত প্রহরা টিমের সদস্যেরা একটি চাবি ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষের দরজা খোলে এবং ভেতরে ঢুকে রামোসকে হত্যা করে।’
নোমান ইবনে সাবিত/বিপি, নিউ ইয়র্ক
Discussion about this post