কোনোরূপ অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট। মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য আজ সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট নেওয়া হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। এখন চলছে ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে জয়-পরাজয় নির্ধারণ হবে মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণে ১১৫০ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৮০৩৭১ ভোট এবং বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ৩৮৮০০ ভোট।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তরের এখন পর্যন্ত ১৩১৮ কেন্দ্রের মধ্যে ৫১ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬৭৫৬ ভোট এবং বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ১০৭৭৯ ভোট।
ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এখানে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ৩১৮টি।
দক্ষিণ সিটিতে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৫০টি।
ভোটে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও শুরু থেকেই বিএনপি নানা অভিযোগ করে আসছে। কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কারচুপি, এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, অন্যের ভোট জোর করে দেওয়ার অভিযোগ করে ১৯৮টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত চেয়েছে বিএনপি। শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এবং যুগ্মসচিব বরাবর এক চিঠিতে এই আহ্বান জানায় বিএনপি।
অন্যদিকে সব কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেমের কাছে ৩২টি অভিযোগ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। শনিবার দুপুর সোয়া ১টায় অভিযোগ নিয়ে আসেন তাবিথের প্রতিনিধি জুলহাস। অভিযোগে তিনি বলেন, এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে, মারধর করছে নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা। অনেকের মাথা ফাটিয়েছে। তারা হাসপাতালে আছে।
তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ দাবি করছে, বিএনপি মূলত বিজয়ী হওয়ার জন্য এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা অভিযোগ করার জন্যই ভোটে অংশ নিয়েছিল। তারা বায়বীয় অভিযোগ দিয়ে ভোটকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে।
Discussion about this post