মেয়াদ শেষের পথে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫ স্বতন্ত্র পরিচালকের। যাদের পূণ:নিয়োগেরও সুযোগ নেই। এছাড়া এক স্বতন্ত্র পরিচালকের প্রথম দফার নিয়োগের মেয়াদ শেষের পথে। যার আরেক দফায় ৩ বছরের জন্য পূণ:নিয়োগের সুযোগ আছে।
স্টক এক্সচেঞ্জে স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিস্ক্রিয় ভূমিকা শুরু থেকেই সমালোচিত। যারা শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি, শুধুমাত্র শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে থাকতেন। যে সমস্যা গত ৬ বছর ধরেই বিদ্যমান ছিল।তবে সেই নিস্ক্রিয় স্বতন্ত্র পরিচালকেরাই বিদায়ের আগ মুহূর্তে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারীতে সমালোচিত এক শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের নির্দেশনায় কাজী সানাউল হকের নিয়োগের পক্ষ নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করে গেলেন।
ডিএসইর পর্ষদের ১২ জন পরিচালকের মধ্যে ৭জনই স্বতন্ত্র পরিচালক। এদের মধ্যে ৫জন আগামি ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরে যাবেন। তাদের পূণ:নিয়োগের সুযোগ নেই। যাতে বাধ্যতামূলক অবসরে যাবেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, মনোয়ারা হাকিম আলী, ওয়ালীউল ইসলাম ও ড. এম কায়কোবাদ।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানের প্রথম দফায় নিয়োগের ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। যার পূণ:নিয়োগের সুযোগ আছে। ফলে তার পুণ:নিয়োগ করা হলে, তিনি আরেক দফায় ৩ বছরের জন্য ডিএসইর পর্ষদে থাকবেন। অন্যথায় ডিএসইর পর্ষদে নতুন ৬ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।
অতিতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার দক্ষ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া ডিএসইর জন্য একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। যারা ডিএসই তথা পুরো শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে। শুধুমাত্র বোর্ড মিটিং ফি নেওয়াই যাদের লক্ষ হবে না। এছাড়া কারো সুপারিশে বা চাপে যেনো অদক্ষ লোক পর্ষদে না আসে, সেদিকেও নজড় রাখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের
Discussion about this post