নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে ৮৮টি ড্রামে রাখা ১৮ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করেছে নোয়াখালী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তেল মজুদ করায় ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের তোতা মিয়ার গলির বিজয়া ভাণ্ডারের রাজেশ বণিকের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব তেল জব্দ করা হয়।
জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়ার নেতৃত্বে চৌমুহনী বাজারের তোতা মিয়ার গলির বিজয়া ভাণ্ডারের রাজেশ বণিকের গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮৮টি ডামে মজুদ করা ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন ও পামওয়েল তেল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত তেলের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩১ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
এ সময় অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এ আড়ত থেকে প্রতি রাতে পিকআপ ভর্তি সয়াবিন তেল পাচার হতো। এছাড়া চৌমুহনীর আশপাশের গ্রামগুলোতে অসংখ্য গুদামে ডাল, ছোলা, সয়াবিন তেল ও খেজুর মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে চৌমুহনীর আড়তদাররা। এদের অনেকের সঙ্গে রাজনৈতিক রাঘববোয়ালদের সম্পর্ক থাকায় তাদের গুদামে অভিযান চালানো হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, অবৈধ মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্র : যুগান্তর
Discussion about this post