বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশ। এখানে সয়াবিন তেলের চাহিদার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তবু সংকটের অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। যদিও চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৩৬ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে তিনটি জাহাজ অবস্থান করছে। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে ভোজ্যতেল বোঝাই আরও কয়েকটি জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বোঝাই তিনটি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে সুমাত্রা পাম জাহাজে ১১ হাজার ৯৯৯ টন, সান জিনে ১২ হাজার টন ও পিভিটি নেপচুনে ১২ হাজার টন ভোজ্যতেল রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে আরও কয়েকটি জাহাজ ভোজ্য তেল নিয়ে ভিড়তে পারে।
সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল দেশে সয়াবিন তেল আমদানি করে। আর সয়াবিন বীজ মাড়াই করে সয়াবিন উৎপাদন করে প্রধানত দুটি প্রতিষ্ঠান-সিটি ও মেঘনা গ্রুপ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বাজারজাত হয়েছে গত দুই মাসে ১ লাখ ৬৯ হাজার টন। ট্যাংক টার্মিনালে আগের মজুত থাকায় আমদানির চেয়ে বেশি পরিমাণ তেল বাজারজাতের জন্য খালাস করতে পেরেছে কোম্পানিগুলো।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘তেলের কোনো সংকট নেই। সয়াবিনের সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। চাকতাই-খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন প্রায় ২০০ ট্রাক তেল (প্রতি ট্রাকে ৬ হাজার ১২০ লিটার) বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ ট্রাক সয়াবিন এবং ১৫০ ট্রাক পামঅয়েল ও পাম সুপার।
এদিকে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া বাজারমূল্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ১৬৮ টাকা এবং বোতলজাত ৫ লিটারের দাম ৭৯৫ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৪৩ টাকা এবং খোলা পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকা।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
Discussion about this post