বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের দেওয়া রায় রোববার (৬ মার্চ) স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। জায়েদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩ মার্চ নিপুণের করা আবেদনের শুনানি করে এমন আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গতকাল ৬ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইমন সাদিক বলেন ,আরেকটা বিষয় আমি ক্লিয়ার করি , অইদিন একটা কাগজ দেখাচ্ছিল যে কোর্টের রায় । কোন কাগজ কোর্ট থেকে বের হয়নি। যে রায়টি এসেছিল , কোর্ট কিন্তু কাউকে কাগজ দেয়নি । তারা কিভাবে পেলেন ? কই থেকে পেলেন ? এটা আপনারা ওনাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন । এ সময় নিপুণ, জেসমিন,সাদিয়া মির্জাসহ শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। সাইমন সাদিক আরো বলেন , তবে ঐ কাগজটা ফেক ছিলো । ‘ভুয়া তথা ‘জাল ও অনৈতিক কাগজ’ দেখিয়ে শপথ নিয়েছে জায়েদ খান। আমি সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকেও ফোন করেছিলাম এবং বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, জায়েদ খানের কাগজটি সত্য নাকি মিথ্যা তা জানেন না।
ফেক কাগজ দেখিয়ে শপথ নেওয়ার বিষয়ে তাদের কী প্রশ্ন করা হলে সাইমন সাদিক এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে বলেন , এটা নিয়ে আমাদের কিছু করণীয় নাই। আমরা তো আর কাগজ এসে চেক করিনি । কাঞ্চন ভাই জানতে চেয়েছিল তুমি আসলে না কেন,এসে বললে না কেন ? তবে বিষয়টি আইনসিদ্ধ নয় । এটা জাল কাজ । এ বিষয়ে মানহানি কিংবা আইনপরিপন্থী বা তারা কোন মামলা করবে কিনা অথবা বিব্রত হচ্ছেন কিনা প্রশ্নের উত্তরে সাইমন সাদিক উত্তরে বলেন , আমরাও বিব্রত হই ।আমরা কাদের আন্ডারে ,আমরা কিন্তু সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে । আমাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল মানে নিপুন আপার পক্ষে সেটা কিন্তু আপিল ডিভিশন যে ছিলো প্রথমে সমাজ কল্যান মন্ত্রী পাঠালেন সচিব মহোদয়ের কাছ , সেখান থেকে ডিজি বরাবর ,ডিজি পাঠালেন ঢাকার ডিডির কাছে । ডিডী আমাদের ৩ জন আপিল বিভাগকে বললেন , আপনারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা যেন সুরাহাহ হয়। সেই সুরাহাহ কিন্তু টোটাল ৪ জনে মিলে দিয়েছিলেন নিপুন আপার পক্ষে ।আমরা কিন্তু আনন্দে নেই ,খুব আনন্দে নাচতে নাচতে যে কোর্টে যাচ্ছি তা কিন্তু নয় । শুটিং এর মধ্যে আছি আবার এটার মধ্যেও আছি । এটা আমাদের ভাল লাগছে না । আমরা কিন্তু একটা সুরাহাহ পেয়েছিলাম ।আমাদের অভিযোগটা কি ছিল , সেখানে স্ট্রেট লেখা ছিল ঘুষ আদান প্রদান করা হয়েছে । যেটা স্ট্রেট লেখা ছিল যদি কোন অর্থনৈতিক লেন দেন হয় ,সেখানে কিন্তু ঐ পদটি শুন্য ঘোষনা করা হবে । যেটা আপিল বিভাগ করেছিল । সেটা তো আমাদের পক্ষেই ছিলো । তারা সেটাকে মানেনি না মেনে কোর্টে গিয়েছে এখন আমরা দৌড়াচ্ছি । আমরাও দৌড়াব যতদিন এটা নিষ্পত্তি না হয় । আমরা কোর্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি এবং অবশ্যই আস্থা রাখি ।এক মাস পর ফুল ব্রেঞ্চে যে রায়টা আসবে সেটা আমাদের পক্ষেই আসবেই বলে আমি বিশ্বাস করি ।
স্টাফ রিপোর্টার
মাসুদুর রহমান
Discussion about this post