আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্র ডক্টর মো. আব্দুর রজ্জাক এমপি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না- নির্বাচনও চায় না। তারা জানে- তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আগামি নির্বাচনে তাদের একদম ভরাডুবি হবে। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তাঁর জেলে থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারের বদান্যতা ও উদারতায় কারাগারের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির আরেক নেতা তারেক রহমান বিদেশে থেকে রিমোট কণ্ট্রোলে দল পরিচালনা করে। সেও দুর্নীতি পরায়ণ, আইন অনুযায়ী তাঁরও নির্বাচনে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়। এ কারণে তারা কোনক্রমেই নির্বাচন চায় না- তারা চায় সরকারের পতন। কিন্তু এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার। আগামি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত জনগণের রায় ছাড়া বর্তমান সরকারের পতন হবে না। রোববার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। অতীতে স্ব স্ব পেশায় তাঁরা সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন, আমি যতদূর জানি- তাদের তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে, শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে এবং সবাই মনে করছে এই নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভাল নির্বাচন হবে।
কৃষিবিদ ডক্টর রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোন আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সুষ্ঠু ও সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করেছেন। এ আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই, বিএনপি নবগঠিত এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক- তাতে কিছু আসে যায় না। তারা যতোই আন্দোলনের হুমকি দিক, আগামি নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সকল আন্দোলন মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতনিধি
Discussion about this post