নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অভিযান চালিয়ে মো. নূর নবী চৌধুরী নামের সোনালী ব্যাংক দাগনভূঁঞা শাখার এক সিনিয়র অফিসারকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালী। ৫১ জন গ্রাহকের স্বাক্ষর নকল ও জাল-জালিয়াতি করে প্রকৃত গ্রাহকদের অনুকূলে ঋণের টাকা বিতরন না করে মোট ১৭লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে
দুদক নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা নূর নবী চৌধুরী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা শাখায় ২০১০ থেকে ২০১৪সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকা অবস্থায় ৩০জন গ্রাহকের নামে ভূঁইয়া ঋণের আবেদন সংগ্রহপূর্বক আবেদনকারীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকৃত গ্রাহকদের অনুকূলে ঋণের টাকা বিতরণ না করে চরবাটা ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বার আলেয়া বেগম, চরবাটা গ্রামের মো শহীদ উদ্দিনের ছেলে মহি উদ্দিন ভূঁইয়া ও উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান প্রকাশ বাচ্চু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলামের যোগসাজে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্্রয় নিয়ে ভূয়া ঋণবন্ড তৈরী করে ১২লাখ ৪৫হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।
পরবর্তীতে এ কর্মকর্তা ২০১৪ থেকে ২০১৬সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক সুবর্ণচর শাখা কর্মরত অবস্থায় ওই শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ নেছার উদ্দিন আহমেদ, অফিসার মোহাম্মদ আবুল কাশেম ও অফিসার আব্দুল গফুরের যোগসাজে একই কায়দায় ২১জন গ্রাহকের নামে ৫লাখ ৫০হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করে।
দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা নূর নবী চৌধুরী পৃথকভাবে ৫১জন গ্রাহকের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে মোট ১৭লাখ ৯৫হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে
Discussion about this post