সিলেটে জেলার একমাত্র সরকারি এমএজি ওসমানী হাসপাতাল। প্রতিদিন রোগীর চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েন কর্তব্যরত ডাক্তার,নার্সসহ অন্যান্যরা। হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছেন রোগীরা। বিছানায় যতজন রোগী তার চেয়ে অধিক পড়ে আছেন মেঝেতে। তীব্র শীতে কাতরাচ্ছেন তারা।
শনিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুরে সিলেট সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এমন দৃশ্য দেখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। সাথে সাথেই তিনি হাসপাতালটিতে নতুন একটি নারী সার্চারি ওয়ার্ড চালুর নির্দেশ দেন।
হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যের ডিজি এ প্রসঙ্গে বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ অঞ্চলের সব চেয়ে বড় চিকিৎসা সেবা প্রদানের জায়গা। এখানে সেবা ভালোভাবে দেওয়া হয় বলেই রোগীর এত চাপ। বিশেষ করে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে দেখেছি রোগীর প্রচুর চাপ। এই প্রচন্ড শীতে রোগীদের মেঝেতে রাখতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। তাই নতুন পরিচালক সাহেবকে বলেছি- হাসপাতালের ওষুধের স্টোর থেকে ওষুধ সরিয়ে সেখানে যেনো আরেকটি ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ড করা হয়। দুটি ওয়ার্ড হলে রোগীদের অমানবিক ভাবে রাখতে হবে না। আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে সেবাও দেওয়া যাবে।
ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৯০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি থাকেন প্রায় ১৫০০ রোগী। এছাড়া বর্হিবিভাগে প্রতিদিন সেবা নেন আরও প্রায় দুই হাজার। শয্যার তুলনায় রোগী প্রায় দিগুণ ভর্তি হওয়ায় অনেককে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা সেবা দেওযা হয়।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কাশেম রুমন
সিলেট প্রতিনিধি
Discussion about this post