চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। তাদের অভিযোগের তীর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের দিকে।
অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেছেন, ‘স্ক্রিনশট যার, তার নাম ও ছবি কোথায়? যার সঙ্গে কথোপকথনের অভিযোগ এসেছে, তাকে হাজির করেন। বানিয়ে একটা স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দিলেই হবে না। প্রমাণসহ অভিযোগ করতে হবে। অলরেডি আমি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সঙ্গে কথা বলেছি। যে স্ক্রিনশট উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সুপার এডিট করা। নির্বাচন ঘিরে অনেক নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরও এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সত্যিই এটি খুবই দুঃখজনক।’
জায়েদ খান বলেন, ‘আমি কেন জিতেছি, এটাই তাদের সমস্যা। আমি যতবার নির্বাচন করব, ততবারই জয়ী হব। আমরা যেভাবে কাজ করেছি, ২১ জনই তো পাস করার কথা। আমি তো কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। আবার নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আমি আগামীকাল কার্যক্রম শুরু করব। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সব ভিত্তিহীন। এফডিসির এমডির চেয়ে তো আমি বড় কিছু না। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, আমি সবটাই মেনে নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কি মুনমুন আপাকে টাকা দিতে পারি? শিল্পীর ভোট কি টাকা দিয়ে কেনা যায়? ভালোবাসা দিয়েই সবকিছু জয় করা সম্ভব। মুনমুন আপা ২ হাজার টাকার শিল্পী? তিনি ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে যাবেন? তাহলে তারা কি শিল্পীদের টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করেন? এ ধরনের কথা বলে শিল্পীদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। মুনমুন আপুর সাথে কথা বলার ফাঁকে তিনি মাস্ক ব্যাগে রেখেছেন। একজন সিনিয়র শিল্পীকে নিয়ে এভাবে ভিত্তিহীন কথা খুবই দুঃখজনক। শিল্পীরা আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তার প্রতিদান দিতে চাই।’
রিয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জায়েদ খান বলেন, ‘রিয়াজ ভাই পোলিং এজেন্ট হয়ে ভেতরে মাস্ক খুলে খুলে কাঞ্চন-নিপুণকে ভোট দিতে বলেছেন। তিনি তো পোলিং এজেন্ট হিসেবে ভেতরে কারও কাছে ভোট চাইতে পারেন না। আমি তো অভিযোগ করিনি।’
‘শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভোটেই তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়েছি৷ আগামীতেও যদি নির্বাচন করি, আত্মবিশ্বাস আছে, শিল্পীরা আমাকে নির্বাচিত করবেন।’
জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে এক মাস ধরেই নোংরা ভিত্তিহীন কথা ছড়ানো হচ্ছে। এতকিছুর পরও শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। পরাজিত হয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। তাদের অনেক প্রার্থীই পাশে ছিল। তখন তারা কেন অভিযোগ করেননি? এসব অভিযোগ আগে আসেনি কেন? শিল্পীরা টাকায় বিক্রি হয় না৷ তারা একটু ভালোবাসা চায়। আমাদের কাজে সহযোগিতা করতে দুই প্যানেল থেকেই সাতজন করে লোক রাখার অনুমতি ছিল। এর বাইরে আমাদের কোনো লোক ছিল না।’
আপনি (জায়েদ), এফডিসির এমডি, নির্বাচন কমিশন মিলে একটি গ্যাং, ১৭ সংগঠনদের নেতাকর্মীদের এফডিসির প্রবেশে বাধা দিয়েছেন এবং আপনার কথায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে—এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বলবেন? এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার যদি এত ক্ষমতা থাকে, তাহলে আমি এফডিসিতে কেন? আমার তো এমপি নির্বাচন কিংবা তার চেয়ে বড় কিছু জায়গায় থাকা দরকার। এফডিসির ছোট একটি সংগঠন শিল্পী সমিতি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা করার দরকার ছিল তাই করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষ নিয়ে বসেই সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিয়াজ ভাইসহ অন্য শিল্পীরা বলেছিলেন, এবারের মতো সুষ্ঠু নির্বাচন আর দেখিনি। এখানে আমার হাত নেই। তাদের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
Discussion about this post