অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনাম হন। এবার ফের আলোচনায় এই অভিনেত্রী। মধ্যরাতে বন্ধুর সঙ্গে গাড়িতে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন এই নায়িকা।
তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ ছিল পুলিশের। এরপর ওই মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে পুলিশের সঙ্গে স্পর্শিয়া ও তার বন্ধুকে কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায়।
অনেকেই বলছেন স্পর্শিয়া মদ্যপ ছিলেন। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্পর্শিয়া জানান, তিনি মদ্যপ ছিলেন না।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। রাত ১২টার দিকে আমরা কেক নিয়ে ওর বাসার দিকে যাচ্ছিলাম। ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোড থেকে আমরা যখন টার্ন নিচ্ছিলাম, ওটা একটু রাফ ছিল। সেখানে কয়েকজন পুলিশ ছিলেন, তারা আমাদের গাড়ি থামাতে বলেন।’
গাড়িতে কী পাওয়া গিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা গাড়ির কাগজপত্র চেক করেছেন, গাড়ি চেক করেছেন কিন্তু কোনো ত্রুটি পাননি। কেক, খিচুড়ি ছাড়া গাড়িতে কিছু ছিল না। আমি ৪০ মিনিটের মতো গাড়িতে বসে ছিলাম। এক পর্যায়ে আমার বন্ধু আমাকে বাসায় চলে যেতে বলে। কিন্তু অতো রাতে আমি একা একটা মেয়ে কীভাবে যেতাম। কোনো রিকশাও ছিল না ওখানে। এ কারণে আমি আর আসতে পারিনি।’
স্পর্শিয়া আরো বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি গাড়ি থেকে বের হই এবং পুলিশদের সঙ্গে কথা বলি। গাড়িতে কিছু পেয়েছেন কিনা? কাগজপত্রে কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাই। মূল কথা হলো আমরা মদ্যপ ছিলাম না। আমি সেটা প্রমাণ করতে পারি।’
তবে মেজাজ হারিয়ে ফেলার বিষয়টি স্বীকার করে স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমি জানি না, আমার জায়গায় আপনারা থাকলে কী করতেন? আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলি। হয়তো সেটা আমার ভুল হয়েছে। কিন্তু সেটা কোনো মাতলামি ছিল না। কারণ মাতলামি করার জন্য মদ খেতে হয়। গতকাল রাতে আমরা কেউই ড্রিংক করা ছিলাম না। এখন রাগারাগি করাকে যদি মাতলামি বলা হয়- এটা ঠিক না। একজন নাগরিক হিসেবে আমার জানার অধিকার আছে- কেন আমাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এ কারণেই রাগারাগি করা।’
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু মাতলামি করেছেন। এ কারণে তাদের ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মুচলেকা দিয়ে তারা ছাড়া পান।
Discussion about this post