নাশকতার উদ্দেশ্যে বহন করা ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেছে আওয়ামী লীগ নেতার হাত। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মামলা করেছে। প্রধান আসামিকে আটকের পর গত বৃহস্পতিবার বিকালে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজাদা মোল্যা (৪০) গত ৭ই নভেম্বর নিজের জ্যাকেটে বহন করা ককটেল বিস্ফোরণে হাত উড়ে গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে পুলিশি প্রহরায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে তোফায়েল শিকদার ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় লোহাগড়া থানার এস আই পিয়াস কুমার সাহা বাদী হয়ে গত ১৪ই নভেম্বর শাহাজাদাসহ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিকদার জিয়াউর রহমান, ধলইতলা গ্রামের জলিল গাজীর ছেলে শাহীন গাজী, তালবাড়িয়া গ্রামের রঞ্জু মোল্যার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মঙ্গলহাটা গ্রামের শাহাদৎ শিকদারের ছেলে তোফায়েল শিকদারের নামে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এস আই রাজিব হোসেন জানান, আসামিরা আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নাশকতার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরিত ককটেলটি বহন করছিল। আসামি শাহাজাদা, মামুন ও তোফায়েল বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। বাকি জিয়াউর ও শাহীন গাজী উচ্চ আদালত থেকে সম্প্রতি জামিন পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ই নভেম্বর রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া পৌর এলাকার কুন্দশী সিএন্ডবি চৌরাস্তা জামে মসজিদের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে মল্লিকপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির ডান হাত উড়ে যায়।
Discussion about this post