নিজস্ব প্রতিবেদকঃ১৪ আগস্ট
চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলার আসামী ও চিহিৃদ অপরাধী-দাগি এবং খুলশি,বায়জিদ-দেওয়ান হাট রেলব্রিজ নিচে বেশকয়েক নারী-শিশু ধর্ষন মামলার আসামী এবার অনলাইন টিভি মালিক, চেয়ারম্যান,সাংবাদিক পরিচয়ে কালকাটা রাজুর বিরুদ্ধে ‘চাদাঁবাজি সহ জোর পূর্বক টাকা আদায়েরে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চিহিৃদ এই শাহাদাত হোসেন ওরফে রাজুর চাদাঁবাজির অভিযোগ যে, তিনি ট্রাফিক পুলিশ, কখনও ট্রাফিকের টেন্ডল (ক্যাশিয়ার), কখনও আবার কথিত ‘অনলাইন টিভি’র চেয়ারম্যান এমন সব পরিচয়ে বিস্তৃত করেছেন চাঁদাবাজির জাল।
পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তার যোগসাজশে কখনও অন্যদিকে স্থানীয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কার্ডধারী এই ভুয়া সাংবাদিক। এই পরিচয়ে রয়েছে কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষকে হুমকিসহ বিভিন্ন উপায়ে চাঁদা দাবি করছেন সে।
আর এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। সাংবাদিকতার মতো একটি পেশার মর্যাদা হুমকির মুখে পড়েছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকরা।
স্থানীয়ারা জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নগর বিএনপির সাঃ সম্পাদক বক্করের বাসায় ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠককালে শাহাদাত হোসেন ওরফে রাজুকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তিনমাস কারাভোগের পর বেরিয়ে ফের নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে টেন্ডল হিসেবে যোগ দেন রাজু। “রাজপাখি’ নামে ফেইসবুক আইডি খোলে বিভিন্ন সময় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার, বিষোদগার পোস্ট দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
এরপর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে আগ্রাবাদের চৌমুহনীর হোটেল হক টাওয়ারের এক পোশাককর্মীকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে শাহাদাত হোসেন রাজু। নগরীর ডবলমুরিং থানায় এ ঘটনায় ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন রাজুর নামে মামলা করে।
মামলার পর আটক হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গাড়ী থামিয়ে গাড়িতে চোরাই মালামাল রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গাড়িতে থাকা লোকজনদের ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। টাকা না দিলে ছবি তুলে পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে তা প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবী করে।
দীর্ঘ কারাভোগের পর একটি অনলাইন পোর্টাল এন প্লাস টিভি খুলে যার সম্পাদক রাজু আর টেন্ডল রাজুর স্ত্রী ফারজানা আক্তার পিংকি বনে যান ভাইস চেয়ারম্যান। সে চট্টগ্রামে শত শত গাড়িতে ভুয়া অনলাইন এন প্লাস ‘টিভি’র স্টিকার সেঁটে ট্রাফিক টেন্ডল রাজুর চাঁদাবাজি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।
নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার ভাটিরটেক গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে শাহাদাত হোসেন রাজু। তবে সচেতনমহল বলছেন, জাল কার্ডধারী সাংবাদিকরা নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। নিজেদের কখনো সাংবাদিক কখনো বা মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন প্রতারণা চালিয়ে আসছে একটি প্রতারকচক্র।
রাজুর মতো আরো অর্ধশত সাংবাদিক পরিচয়ে শত শত গাড়িতে ভুয়া স্টিাকার লাগিয়ে বন্দর-ইপিজেড ওপতেঙ্গা –হালিশহর এলাকার অলি-গলিতে দিব্য চালানোর অভিযোগ উঠেছে,। এর মধ্যে বন্দরে১১জন, ইপিজেডে-৭জন, পতেঙ্গায়-৮জন, হালিশহর-আগ্রাবাদ এলাকায় প্রায় ১৫জন বলে একাধিক সংস্থা সূত্রে জানাই। পতেঙ্গা ও আগ্রাবাদ এলাকায় রয়েছে গাড়ী মালিক-সাংবাদিক সমিতি ক্লাব।
এরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও নিউজ কভারের কথা বলে কিছু দুষ্ঠ-প্রকৃতি জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে টাকা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান চালিয়ে জন সাধারণ কে বিব্রান্তি করছেন। মাঝে মাঝে পেশাদার সাংবাদিকরা নিউজ করলে তাদের কে হতে হয় অপদস্ত। বিষয়ে প্রকৃত সাংবাদিক সংগঠন গুলোর জোরালো ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করছেন বিজ্ঞ মহল।
যারা সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহল ।