ওমর ফারুকঃ চট্টগ্রাম বন্দর থানাধীন এলাকায় পেশাগত কারণে বহু লোকের অবস্থান। বন্দরে চাকুরীজিবী ছাড়াও নানা ধরণের ব্যবসার সুবাধে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলের লোকজন এখানে বসবাস করে।এরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বন্দরের কর্মযজ্ঞের সাথে সম্পৃক্ত।
এছাড়াও পাশ্ববর্তী এলাকায় রয়েছে দুইটি ইপিজেড ( সিইপি জেড ও কর্ণফুলী ইপিজেড) ও পতেঙ্গা শিল্প এলাকা। সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ লোক এসব এলাকায় কর্মরত আছে। সাধারণত ঈদের কয়েক দিন আগে বিভিন্ন পেশার মানুষ বেতন -বোনাস পেয়ে থাকে।
উল্লেখিত এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাদেরকে এয়ার পোর্ট রোড হয়ে বন্দর থানা এলাকা দিয়ে যেতে হয়।কেউ রিকশায়,কেউ বাসে, কেউ বা সিএনজি অটো রিকশায় নিজ গন্তব্যের রওনা করে অলংকার বা কর্ণেল হাটে গিয়ে আন্তর্জেলা বাসে উঠে। এদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছে। এসময় এলাকায় অপরাধীদের দৌড়াত্বও বাড়ে।চুরি, চিন্তায় প্রতারনা ,বখাটেপনা সহ নানা অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়।
এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যাত্রা পথেই ধূলীস্মাত্ হয়ে যেতে পারে একজন লোকের বাড়িতে গিয়ে ঈদ করার স্বপ্ন।
এব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ময়নুল ইসলামের নিকট তাদের গৃহিত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ঈদে ঘরমূখো মানুষের যাতায়াতের কারণে বন্দর থানা এলাকার সড়ক গুলো দিনরাত প্রায় সমান ভাবে ব্যস্ত থাকে।একই সাথে থাকে বন্দরের পণ্যবাহী গাড়ি ও বিমান বন্দরের গাড়ির চাপ।
একসাথে এত কিছুর চাপ সামাল দেওয়া বড় কঠিন।তার পরও ঈদে ঘরমূখো মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে আমরা এক নম্বর কর্তব্যের তালিকায় রেখেছি।কেউ যাতে কোন বিড়ম্বনার স্বীকার না হয় সেজন্য তিনটি মোবাইল টিম নিয়মিত ডিউটি করছে।
এছাড়া বিভিন্ন মার্কেটসহ যেসকল স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে সেসব স্থানে সার্বক্ষণিক ডিউটি করার জন্য ফিক্স পার্টি দেওয়া হয়েছে। অপরাধী যেই কেউ হউক না কেন, অপরাধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে কিংবা চেষ্টা করলে সাথে সাথে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক,মার্কেট বা লোক সমাগম এলাকায় কেউ সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরা করলে জিজ্ঞসাবাদ করে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সকল অপরাধীর জন্য আমাদের বার্তা একটাই অপরাধ করে কেউ আইনের হাত থেকে বাচতে পারবে না। ঈদ উৎসব যাতে সবার জন্য আনন্দমুখর হয় সেই চেষ্টাই আমরা করছি।