রাশেদুল আজীজঃ বাংলাদেশে গ্রীষ্মে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াম এবং শীতে শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে । বাংলাদেশ চাষ যোগ্য জমির পরিমান দিন দিন কমছে। বছরে বৃষ্টির পরিমান বেড়েছে এবং সেই সঙ্গে বন্যা, সাইক্লোলন সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হারও বাড়ছে । পানি প্রবাহ কমে যাচ্ছে কমে যাচ্ছে জমির উৎপাদন ক্ষমতা । এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী যেসব উন্নত দেশ ক্ষতিপ্রস্ত দেশ গুলোর প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলো, তা বাস্তবায়ন করছেনা বরং আরো অধিক হারে কার্বন নিঃসরন বাড়িয়ে দিয়েছে ।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ আজ তিন ঋতুর দেশে পরিনত হয়েছে । জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন যাপনের পরিবর্তন ঘটে । পরিবর্তন ঘটে শস্যচক্রে, আর্বিভাব ঘটে নতুন নতুন রোগ বালাইয়ের । জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে একটা বিরাট অংশ তলিয়ে যাতে পারে সমুদ্রের তলে । জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে প্রতিনিয়ই । পরিবর্তনই প্রকৃতির নিয়ম অপরিবর্তন নয় । কিন্তু সেই পরিবর্তনের দিক ও গতি এমন ভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে । যাতে তা এক মারাত্নক বিপদের মুখোমুখি করছে আমাদের । আগে যে পরিবর্তন হয়ে সময় লাগত হাজার বছর এখন তা হচ্ছে হয়তো ১০ বছরে আগে ১০০ বছরে যে পরিবর্তন হয়ো তার জন্য হয়তো এখন লাগছে এক বছর । প্রক্ক্রিতিতে এই দ্রুতগতির পরিবর্তনের ফলে পুরো প্রানী জগতই বাড়ছে ধ্বংসের মুখে । মাত্রাঅতিরিক্ত কার্বন নিঃসরন, নদীর ওপর বাঁধ, বায়ু, পানি-মাটি দূষন, ক্রমাগত বন পাহাড় ধ্বংস ইত্যাদি কারনে আমাদের আজ জলবায়ু পরিবর্তনের মহাসংকটের সম্মুখীন হয়ে হচ্ছে । যার ফলে ক্রমাগত পৃথিবী নামক এ আবাস স্থল উষ্ণ হচ্ছে ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের খাদ্য-নিরপত্তায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে খাদ্যে নিরাপত্তার ঝুকির মধ্যে পড়ছে ক্রমাবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে খাদ্যের চাহিদা পুরন এমনিতেই অনেক কঠিন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তা আরো জটিল হয়ে দাঁড়াবে ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বেড়ে যাবে এর ফলে বাংলাদেশের একটি অংশ ডূবে যাবে এবং একাশে মরুভুমিতে পরিনত হবে ।