স্টাফ রিপোটারঃ১৭জুলাই
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে ও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও অধীন ২৬০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
১৭ জুলাই,শনিবার দুপুর ১২টায় দারুল ফজল মার্কেটস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-১০ কেজি চাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি পিঁয়াজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। থানা কমান্ডারদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার মোঃ নূর উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মহানগরী ও বিভিন্ন থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা কারো করুনার পাত্র নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কল্যাণে যথেষ্ট আন্তরিক বলেই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগরী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁরা নিজের স্বার্থেও কথা চিন্তা না করে জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েই আমাদেরকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের ‘বীর’ উপাধি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছেন। সমগ্র জাতি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি চট্টগ্রামে আছে। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানান দিতে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিশৌধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নগরীর নান্দনিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত পতেঙ্গা বে-টার্মিনালের পরে সরকারী জায়গায় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিশৌধ করা গেলে নগর আরও দৃষ্টিনন্দন হবে। পবিত্র ঈদুল আযহার পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিলে এখানে স্মৃতিশৌধ নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে চিঠি লিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হবে। সরকার চাইলেই সরকারী খাস জায়গায় একটি প্রকল্প নিয়ে স্মৃতিশৌধ নির্মাণ করে দিতে পারে।
তিনি বলেন, সিটি মেয়র থাকাকালীন সময়ে মানসম্মত নগরায়নে কাজ করেছি। এখন মেয়র পদে না থাকলেও চট্টগ্রাম নগরবাসীর সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।