বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার(১৪ মার্চ) দুপুরে ক্লাস বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা ‘মোদের দাবি একটাই, সেশনজট থেকে মুক্তি চাই শ্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও সেশনজটের কারণে যথা সময়ে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত না হওয়ায় অনেকের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি গুলোতে রয়েছে, লেভেল-২, টার্ম-২ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। লেভেল ৩, টার্ম-১ এর চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পূর্ণাঙ্গ কোর্স শেষ করতে হবে। প্রত্যেক টার্মের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল ১ মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। প্রত্যেক টার্মের নম্বর পত্র ফলাফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা বর্তমান ক্লাস রুটিন নিয়ে সন্তুষ্ট নই। আর শিক্ষকরা ক্লাসের তুলনায় একাডেমিক মিটিং, সভা-সেমিনার নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। ফলে আমাদের সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম দেরিতে হয়’।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৬-১৭ সেশনের ১১ জুলাই লেভেল-১টাম-১ ভর্তি হই। জুলাই ১৭ আমাদের সেশন শুরু হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আমাদের লেভেল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ১২ ই নভেম্বর ২০১৮। যার ফলে আমরা দুই মাস সেশনজট এর শিকার হই। তখন কর্তৃপক্ষ আর সেশনজট না হওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। তবে লেভেল ২ ও যথাসময়ে শেষ হয়না।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও ফলাফল প্রকাশ করা হয় নাই। এমন অবস্থায় সঠিক সময়ে লেভেল ৩, টার্ম-১, এর চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার মৌখিকভাবে জানিয়েছি লিখিত আবেদন দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ আগের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেভেল-৩ টাম-১ এর আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, বিক্ষোভ চলাকালে দুপুরে প্রিন্সিপাল বখতিয়ার রহমান এসে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন। তবে লিখিতভাবে এবং যৌক্তিক কোন আশ্বাস না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখাসহ প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবিগুলোর যৌক্তিকতার সাথে সহমত পোষণ করে বিটেক অধ্যক্ষ বখতিয়ার রহমান জানান, সমস্যা সমাধান আর সেশনজট কিভাবে নিরসন করা যায় সেই ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিবো। আশা করছি পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়িত হলে আগামীতে সেশনজটের শঙ্কা দূর করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি