নাগরপুর মার্কেটে উপচেপড়া ভিড় সামাজিক দূরত্ব মানছে না মানুষ

মোহাম্মদ মহসিন খান নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান গুলোতে চলছে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটারধুম। সব বয়সী মানুষ করোনা ভয় উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন সকাল থেকেই। সকাল হতে না হতেই মার্কেটমুখী সাধারণ মানুষের ঢল নামতে শুরু করে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারীভাবে কেনাকাটার পরিসরকে সীমিত রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানছে না মার্কেটের ক্রেতা বা বিক্রেতা। জনতার চাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসহায় হয়ে পরেছে। এই ভিড় শুধু জামা ,জুতার দোকানেই সীমাবদ্ধ নেই। ভিড় ছড়িয়ে পরেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ রড সিমেন্টের দোকানেও।

 

তবে অন্যান্য দোকানের তুলনায় পোষাক ও জুতার দোকানে ভিড় বেশী। এতো ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতো দুরের কথা শাররীক দূরত্বও বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পছন্দের পোশাক,জুতা-সেন্ডেল ও কসমেটিকসসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য ক্রেতাদের একেবারে গা ঘেঁষাঘেঁষি অবস্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে।ক্রেতারা ঠেলাঠেলি করে মার্কেটে প্রবেশ করছে। অনেকে ছোট শিশুদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত । ক্রেতা ও বিক্রেতা অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।

 

হ্যান্ড গ্লাভস বা নুন্যতম কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা মানছেন না সাধারণ ক্রেতা ও বিক্রেতা। নাগরপুরের হাজী সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ভাড়রা ইউনিয়নের পাঁচতারা থেকে জোহরা বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি তার ১২ বছর বয়সী ভাইয়ের জন্য শার্ট আর তার নিজের জন্য থ্রিপিস কিনতে এসেছেন। তিনি ও তার ভাই দুজনের একজনও মাস্ক পড়েননি। মাস্ক না পড়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন প্রচন্ড গরম । এই গরমে মাস্ক পড়া কঠিন ।

 

করোনা নিয়ে ভয় পাবার কি আছে? যা হবার তাতো হবেই। সামনে ঈদ এখন যদি না কেনাকাটা করি তবে কখন করবো। বিক্রেতাও ক্রেতার কথায় সায় দিয়ে বলেন, ভাই অনেকদিন পড়ে দোকান খুলেছি। একটু বেচাকেনা করতে দেন। করোনায় মৃত্যু লেখা থাকলে কেউ তা রুখতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজার কমিটির আহ্বায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান রায় জানায়, বাজার কমিটির পক্ষ থেকে কলেজ রোডে তিনজন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে ।

 

যারা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও জীবাণুনাশক স্প্রে রাস্তায় ও ক্রেতাদের হাতে হাতে মেখে দিচ্ছে। এই রোডে পোশাকের দোকান বেশি হওয়ায় ভিড়ও বেশি। আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনেই মার্কেট পরিচালনার চেষ্টা করছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম

 

এ বিষয়ে বলেন, আমরা সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক দোকান খোলার ব্যাপারে নাগরপুর বণিক সমিতিকে অবহিত করেছি এবং সে নির্দেশনা মোতাবেক নিদির্ষ্ট সময় পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। এর ব্যাতিক্রম ঘটলে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ