কোতোয়ালী থানাধীন চামড়া গুদাম এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিনি পিকআপ অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়া নতুন ব্রীজের দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে মেরিনার্স রোডের পুরাতন ফিশারী ঘাটের মুখে নতুন ব্রীজগামী গাড়ি থামানোর সংকেত দিলে দৌড়ে পালানোর সময় ৩জন কে আটক করেন। গাড়ির ড্রাইভার এবং অপর একজন পলাইয়া যায়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং গাড়ির পিছনে বস্তার মধ্যে অবৈধ মাদকদ্রব্য তথা ফেন্সিডিল আছে বলিয়া জানায়। তথায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত গাড়ি তল্লাশি করে ধৃত আসামীদের দেখানো মতে বর্ণিত গাড়ির পিছনের বডিতে থাকা ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি মিনি পিকআপ, গত ২৮জুন ভোর ৫টার সময় জব্দ করেন।
ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তাদের অপর সহযোগী পলাতক ৪নং আসামী রাজীব দাশ এর পূর্ব পরিচিত বর্ণিত গাড়ির ড্রাইভার রিপন (২৩) ভাড়া নিয়া কুমিল্লা যাওয়ার সংবাদ পাইয়া ধৃত আসামীরা সহ উক্ত ফেন্সিডিল সমূহ কুমিল্লা জেলা হইতে কম দামে সংগ্রহ করিয়া বেশি দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বর্ণিত গাড়ি যোগে কক্সবাজার নিয়া যাচ্ছিল। মামলার তদন্এত অফিসার (এসআই)সুকান্ত চৌধুরী বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ০১টি মামলা রুজু হয়।
১৪ (চৌদ্দ) বছর বয়স থেকে রেলষ্টেশনে ঘুমাত কাদের। বরিশাল কলোনীর মাদক স্পটের নিয়ন্ত্রক ডন ফারুকের বরিশাল কলোনীর মাদক ক্রয় বিক্রয়ের সাথে সে জড়িত। একপর্যায়ে ফারুকের স্পটে ফেন্সিডিলের ক্রয় বিক্রয়ের দায়িত্বে থাকা কাদের পরিচিতি লাভ করে ডাইল কাদের হিসেবে। পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন অভিযানে একাধিকবার গ্রেফতার হওয়ার পরেও জামিনে বের হয়ে সেই কাদের পুনরায় ফেন্সিডিল (ডাইল) ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এবং চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল বিক্রয়ে তার কমিশন এজেন্ট আছে মর্মে স্বীকার করে।
সে জানায় বর্তমানে ইয়াবার চাইতেও ফেন্সিডিল লাভ বেশি। একসময় ফেন্সিডিলের দাম ৫০০-৬০০ টাকা হলেও বর্তমানে ১টি ফেন্সিডিলের দাম ৩৩০০/- টাকা বলে জানায়। বর্তমানে যার ক্রয়মূল্য ২৫০০/- টাকা। অধিক লাভবান হওয়ার কারনে সে এই ব্যবসা থেকে ফিরে যেতে চায় না। বর্তমানে সে মোটরসাইকেল, রিক্সা, পিকাপ সহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে একাধিক কর্মচারীর মাধ্যমে ফেন্সিডিল হোম ডেলিভারী দেয়।
উল্লেখ্য যে, ধৃত ১নং আসামীর বিরুদ্ধে সিএমপি’র কোতোয়ালী ০১টি, ডবলমুরিং থানায় ১৬টি, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় ০১টি সহ সর্বমোট ১৮টি মাদকদ্রব্য আইনের মামলা আছে। ধৃত ২নং আসামীর বিরুদ্ধে সিএমপি’র পাঁচলাইশ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও কুমিল্লা দাউদকান্দি থানায় ০১টি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা সহ সর্বমোট ০২টি মামলা আছে।
উদ্ধারকৃত আলামত- ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল ও ০১টি মিনি পিকাপ।
অভিযান পরিচালনাকারী টিমের নাম ঃ এসআই(নিঃ)-সুকান্ত চৌধুরী ইনচার্জ পাথরঘাটা পুলিশ ফাঁড়ী, সঙ্গীয় অফিসার এএসআই(নিঃ)-মোঃ জয়নাল আবেদীন ,মোঃ আবুল মনছুর, রুবেল বড়–য়া, আলী হোছাইন সর্ব কোতোয়ালী থানা, সিএমপি, চট্টগ্রাম।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা- ১) আব্দুল কাদের প্রকাশ ডাইল কাদের (৪০), পিতা-মৃত আবদুর রহমান, সাং-ইয়াকুব বাড়ী, ধোপাপাশা, থানা-টংগীবাড়ী, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, ২) মোঃ নিশান (৩০), পিতা-সৈয়দ মোঃ নওশেদ প্রকাশ নওশাদ, সাং-মেয়র গলি, মতির বাপের বাড়ি, ৮নং ওয়ার্ড ৩), মোঃ শিপন (২৬), পিতা-মৃত ফজলুল হক, মাতা-জানু বেগম, সাং-ঘোষকান্দি চেয়ারম্যানের বাড়ি, রায়পুর, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, আসামী কাদের সিএমপির তালিকা ভুক্ত অপরাধী, তাকে গতকাল রাত্র মাদক সহ আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়ছে। মাদকের ব্যাপারে আমরা কোন ছাদ দিব না।