বাবুল হোসেন বাবলাঃ চট্টগ্রামে প্রতিনিধিঃ “চট্টগ্রামে ময়না তদন্ত” সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধন দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য
ময়না তদন্ত বাধ্যতামূলক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আতœহত্যা, দূর্ঘটনা জনিত বা অপঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করার জন্য মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক। ময়না তদন্তের উপর নির্ভর করে মহামান্য আদালত দায়েরকৃত মামলার সঠিক বিচার। ময়না তদন্ত রিপোর্ট কোন কারণে ভূল হলেই মৃত ব্যাক্তির মরনোত্তর বিচার প্রাপ্তি বিঘিœত হয়ে মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিরা বিচারের আওতা বর্হিভূত থেকে যায়। এজন্য সঠিক ভাবে ময়না তদন্ত অত্যন্ত জরুরী। শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত চিকিৎসকগণ দ্বারা এই ময়না তদন্তকার্য সম্পাদন করা হয়। আজ ৪ জানুয়ারী ২০২০ ইং শনিবার সকাল ১০টায় নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত “ময়না তদন্ত” সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকগণের ৬দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ময়না তদন্ত’ বিষয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়নের (এমইএন্ডএইচএমডি) উদ্যোগে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগীতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, ঝামেলা এড়াতে চিকিৎসকদের ময়না তদন্তের বিষয়ে অনীহা লক্ষ্য করা যায়। একজন মৃত ব্যক্তির ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য ময়না তদন্ত রিপোর্ট অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। দেশের সকল চিকিৎসককে এ বিষয়ে জানতে হবে। সঠিক ময়না তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা হলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে অপরাধ প্রবনতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে। দেশের কোন মৃত ব্যক্তি বা পরিবার ন্যায় বিচার প্রাপ্তি থেকে যেন বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ময়না তদন্তের বিষয়ে সকল প্রকার প্রভাবের উর্ধ্বে থেকে মহামান্য আদালতের নির্দেশনায় কাজ করতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন তিনি।
উদ্বোধনী দিনে ‘ময়না তদন্ত’ বিষয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সুমন মুৎসুদ্দী। বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শফিকুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা সদর হাসপাতালের ১১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিসারগণ প্রশিক্ষণে অংশ নেন