টাঙ্গাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ঘুষ বানিজ্য

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার (পিআইও) কার্যালয়ে চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পিআইও রাসেদুল হাসান ও অফিস সহকারী রহুল আমিন ও ওমেদার রিয়াজুলের লাগামহীন ঘুষ বানিজ্যের ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। শুধু তাইনয় সরকারী প্রতিটি বরাদ্দের বিপরীতে পিআইওকে নিদিষ্ট হারে মোটা অংকের কমিশন না দিলে নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ রয়েছে জনপ্রতিনিধিদের।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে ভরে গেছে। এ নিয়ে পিআইও’র নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারনে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়না দাবি ভুক্ত ভোগীদের । তিনি ঠিকাদারদের সাথে আতাত করে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে দায়সারা ভাবে কাজ শেষ করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমানে সরকারি অর্থ। এ নিয়ে ইতোপুর্বে তার বিরুদ্ধে একাদিকবার পত্র-পত্রিকায় সংবাদও হয়েছে।
বিগত অর্থ বছরে স্থানীয় সাংসদ বরাদ্দ দেয় উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প কমিটির সভাপতির নিকট থেকে প্রতি মেট্রিকটনের বিপরীতে পিআইওকে খরচের কথা বলে ডিও প্রদানের সময় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করছেন। আর ওই অর্থ টাঙ্গাইল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- মেম¦ারদের অনুকুলে স্ব-স্ব- এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার করার জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচী(কাবিখা)’র আওতায় সরকারের ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রনালয় বিপুল পরিমান বরাদ্দ দিলেও পিআইও অধিকাংশ মেম্বারদের সাথে আতাত মোটা অংকের অর্থও হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে বাঘিল ইউনিয়নের পিচুরিয়া গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা,পিঞ্জিরা,একই এলাকার আসমা বেগমসহ কাজ করেও তারা টাকা পায়নি। সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অসহায়ের মত ঘুরতে দেখা গেছে তাদের।
এছাড়াও পিআইও সবসময় ইউএনওর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কমিটির সভাপতি/সম্পাদকের কাছ থেকে হাজার- হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে মেতে উঠেছেন। এতে ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানরা মুলত পিআইওর নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, পিআইও কাবিখা, কাবিটা, টি,আর এর ডিও ছাড়পত্র করার  সময় রীতিমত আমাদের কাছ থেকে অফিস খরচের কথা বলে ২৫% থেকে ৩০% হারে টাকা অফিস খরচ নিচ্ছেন। আর তার দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে প্রকল্পের ডিও নেওয়ার সময় নানাভাবে হয়রানী করে থাকে। তাই তার দাবিকৃত টাকা বাধ্য হয়েই পরিশোধ করতে হয় বলে এ ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অতিরিক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) রাসেদুল হাসানের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের। এসব দুর্নীতি ও বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কামরুল হাসান

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

সোস্যাল নেটওয়ার্ক

সর্বশেষ সংবাদ