চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ বছরের জন্য সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সভায় ক্রয় সংক্রান্ত দুইটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব দুইটিতে মোট ব্যয় হবে ৩৪২ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার ৬১৯ টাকা
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) এলাকায় কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডেলিং কাজটি জটিল প্রকৃতির। তাই পিপিআর ২০০৮ অনুসরণ পূর্বক ‘সিঙ্গেল স্টেজ টু ইনভেলাপ’ পদ্ধতিতে ৬ বছরের জন্য টার্মিনাল অপেরেটর নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমেদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪০ টাকা। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।’
অর্থমন্ত্রী জানান, অপারেটর নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করে এবং একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। টিইসি কর্তৃক মূল্যায়িত ও সুপারিশকৃত সাপ্লিমেন্টারি রেসপন্সিভ হিসেবে প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে ৬ বছরের জন্য টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের কাজ দেওয়া হয়েছে।
সভায় অনুমোদিত অপর প্রস্তাবটি হলো ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টে’র আওতায় কনসালট্যান্সি সার্ভিস ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর সাসটেনেবিলিটি (সিএসসিবিএস) কাজের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রকল্পটি গত মে মাসের ২৪ তারিখে একনেক অনুমোদন দেয়। এর আওতায় কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য ইনভাইটেশন ফর এক্সপ্রেমন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) প্রকাশ করলে ২৩ টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব জমা দেয়।
তিনি জানান, প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি শর্ট লিস্টেড ৫ টি ফার্মের প্রস্তাব থেকে প্রথম স্থান অধিকারী জয়েন্ট ভেঞ্চার অব এনজেএস কনসালট্যান্টস কোম্পানি লিমিটেড অ্যান্ড অ্যাকোয়া কনসালট্যান্টস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ ম্যাক্সওয়েল স্টেমপ লিমিটেডকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৯ টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।