নিজস্ব প্রতিবেদনঃ০৮জুলাই
কোভিড–১৯“ করোনাভাইরাস ”সংক্রমণ বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ঘোষিত ০১ -১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধি–নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গতকাল ৭ জুলাই বুধবার ও দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহেত রাখে।
এ সময় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে না চলায় বিভিন্ন দোকান, রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড প্রদান করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমান নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ৪ টা মামলায় মোট ১৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।খুলশী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নিবেদিতা চাকমা, তিনি ৬ টি মামলায় ১১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
অন্যদিকে খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আশরাফুল হাসান, এ সময় তিনি ২ টি মামলায় ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।হালিশহর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বিবি করিমুন্নেছা, তিনি ০৬ টি মামলায় ২৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী, এ সময় ১২ টি মামলায় ২৩৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন আগ্রাবাদ ও হালিশহর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন, তিনি ৭ টি মামলায় মোট ১১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।চকবাজার এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ টি মামলায় ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ জিইসি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ০৫ টি মামলায় ১৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। পাশাপাশি কোতোয়ালি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, তিনি ০৪ টি মামলা দায়ের করে ১০৫০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।